ইবিতে বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়কদের হাতাহাতি
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বুধবার রাতে বাস ভাঙচুর নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা শুরু হয়, যখন কয়েকজন শিক্ষার্থী এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের খারাপ আচরণের প্রতিবাদে বাসটি আটক করেন। পরে, বাসটি ভাঙচুর করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের বাধা দেন, যার ফলে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত দেড়টার দিকে ভাঙচুর করা ওই বাস ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, রাত ১২টার দিকে জিওগ্রাফি বিভাগের ১৩ জন এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের ১৫ জন শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া থেকে বাসে উঠেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসের সুপারভাইজার বাকবিতণ্ডা শুরু করেন এবং কিছু শিক্ষার্থীকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে শিক্ষার্থীরা বাসটি ক্যাম্পাসে আটক করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আরেকটি বাসও আটক করেন, তবে বাসে অসুস্থ ও বিদেশি যাত্রী থাকায় সেই বাসটি কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ সময়, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আহত হন। তার দাবি, বাস আটকানোর সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার পা কেটে গেছে, তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোস্তাফিজ বাসের দরজায় লাথি দিলে তার পা কেটে যায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়।
এদিকে মোস্তাফিজের আহত হওয়ার পর তার সহপাঠীরা বাসের দিকে ইট ছুঁড়ে ভাঙচুর শুরু করেন। তাদের বাধা দিতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের উপর চড়াও হন। এই ঘটনা নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে রাত দেড়টার দিকে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ জানান, তারা বাস ভাঙচুর রোধ করতে বাধা দিলে কিছু শিক্ষার্থী তাদের উপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, "ঘটনা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"