বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাবিতে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচী। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। এবার পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পোষ্য কোটা পুনরায় বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে তারা।

এসময় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন,‘আমাদের দাবি স্পষ্ট। পাঁচ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়া প্রশাসন ভবন অবরোধকারীদের শাস্তিও দাবি করেন বক্তারা।

সিনেট ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত

 

এরআগে, গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী ও পরিবহন কর্মচারী সমিতির’ ব্যানারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।

গত ২ জানুয়ারি দাবি আদায়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। ৮ জানুয়ারি সারাদিন কর্মবিরতি পালন করবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত ১ জানুয়ারি সহায়তা ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ১% কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সম্পূর্ণ কোটা বাতিলের দাবিতে পরদিন প্রশাসন ভবনে তালা দেন কিছু শিক্ষার্থী। ফলে রাতে কোটা সম্পূর্ণ বাতিলে বাধ্য হন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

Header Ad
Header Ad

আচরণ ঠিক করতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পুলিশ

ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্যরা গত ১৫ বছর নগরবাসীর সঙ্গে যেমন আচরণ করেছেন সেই আচরণ থেকে তারা বের হতে চায়। এজন্য প্রতিটি সদস্য নতুন করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সাজ্জাদ আলী।

আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে সদস্যরা যেমন আচরণ করেছে সেই আচরণ থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।সেই জন্য সময়ের প্রয়োজন। আমার সব কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।’

পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিএমপির ৪০ হাজার পুলিশ সদস্যকে হঠাৎ করে পরিবর্তন সম্ভব না। তাই আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করছি।কোথায় কী পরিমাণ বলপ্রয়োগ করতে হবে, সেই বিষয় আমরা দৃষ্টি রাখছি। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে আপনারা পেয়েছেন। ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। সেই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
'
কমিশনার বলেন, ‘গত বছর ৫ আগস্টের পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার ফলে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশবিহীন একটি সমাজ কেমন হতে পারে, ৫ আগস্টের পর আমরা দেখেছি। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যায়। তবে গত পাঁচ মাসে ওইসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

Header Ad
Header Ad

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশের সেই দৃশ্যে সবার মনে দাগ কেটে গেছে। কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। আজ ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পূর্ণ হলেও এ ঘটনার কোনো বিচার হয়নি।

সেই ফেলানী খাতুনের পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আজ বুধবার ( ৮ জানুয়ারী) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তার বাবা নূর ইসলাম এই হত্যার বিচারের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন ঘণ্টা জীবিত ছিল।

কিন্তু ওখানে তখন কেউ সাড়া দেয় নাই। আমার বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তবু আমি বলতেছি, আমার মেয়ে যে রকম কাঁটাতারের মধ্যে ঝুলছে, আমার ফেলানীর বিচারটা যদি হইত, আগের সরকার যদি বিচার করত, তাহলে আমার মেয়ের মতো আর কোনো মায়ের সন্তান ওই কাঁটাতারের মধ্যে ঝুলত না, মারাও যাইত না। আমি আশা করি, আমাদের যে নতুন সরকার গঠন হইছে সেই সরকার কিছুতেই যেন ভারতকে ছাড় না দেয়। আমার ফেলানীর বিচারটা যেন সঠিকভাবে করে।

Header Ad
Header Ad

বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, পুলিশের বাধা

বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা। ছবি: সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের পর নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেছেন বিডিআরের পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। তারা যমুনা হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত পৌঁছাতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে হাজারো ছাত্র-জনতা নিয়ে এই পদযাত্রা শুরু হয়, তবে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের পথ আটকিয়ে দেয়। পরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় একটি প্রতিনিধি দল তাদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যান। অন্যরা সেখানেই অবস্থান নিতে থাকেন।

এ আন্দোলনের ফলে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়, যার প্রভাব আশপাশের সড়কেও পড়ে এবং যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর চাকরিচ্যুত সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই আন্দোলন করছেন, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার কয়েকদিন ধরেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বুধবার তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল থেকেই শহীদ মিনারে হাজারো মানুষ জমায়েত হন, এবং সাড়ে ১২টার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। তবে শাহবাগ পৌঁছানোর পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আচরণ ঠিক করতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পুলিশ
ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ
বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, পুলিশের বাধা
কানাডায় নিখোঁজের একমাস পর মিলল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ
নিষিদ্ধ হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
নওগাঁয় এক হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়, বিপাকে কৃষকরা
যুবদল নেতার সাহায্যে ভারতে পালান ওবায়দুল কাদের!
ইন্টারপোলের আদলে ‘ভারতপোল’ চালু করল ভারত
সরকারি স্কুলের পাশেই ইটভাটা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
দ্বিগুন হলো মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর
১০০ টাকার রিচার্জে কর দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা!  
বিকেলে লন্ডন পৌঁছবেন খালেদা জিয়া  
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিয়ন্ত্রনের উপায়ন্তরেও লাভ হচ্ছে না  
আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত