সেশনজট নিরসনে ঢাবিতে ৬ মাসের সেমিস্টার ৫ মাসে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছয় মাসের সেমিস্টার পাঁচ মাস করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সেশনজট নিরসনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষাগুলো শেষ করতে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাইলে, আগে লাইব্রেরির সিট ও ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়। পরিবর্তন এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেও। চলতি বছর আন্দোলন ও তীব্র তাপদাহের কারণে সাড়ে ৩ মাস ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ছিল। ফলে একাডেমিক ক্ষতি হয়েছে অনেকটা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আন্দোলনের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত পুষিয়ে উঠতে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান আরও বাড়াতে হবে। এই সময়ে আবাসিক হলগুলোতে গণরুম ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটলেও ক্যাম্পাসে রয়েছে নানা সংকট।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়ে সে জন্য সেমিস্টারের সময় পাঁচ মাস করা হচ্ছে। চার মাস চলবে ক্লাস আর এক মাস পরীক্ষা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আগামী তিন সেমিস্টারে সময়কাল ছয় মাসের পরিবর্তে পাঁচ মাস করা হচ্ছে। সামনে একটা শীতকালীন ছুটি রয়েছে। ক্ষতি পোষাতে এই ছুটি কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রিষ্মকালীন ছুটিও কমিয়ে আনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ জানান, একাডেমিক মানোন্নয়নের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। প্রতিটি অনুষদ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।