জাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে অমর একুশে, টার্জান হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় উপাচার্য বাসভবনের বাইরে আসলে শিক্ষার্থীরা তার কাছে তিন দফা দাবি জানান। উপাচার্যের কাছে লিখিত দেওয়া এই দাবিগুলো হলো, সকল ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তা রাজনীতি আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচন দিতে হবে। গত ১৪ থেকে ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলাকারী এবং মদদদাতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা করতে হবে ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর বলেন, 'আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চাই না। আমরা বিশ্বাস করি এই উপাচার্য আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন। '
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, আমরা একটি সমতার সমাজ গঠনের জন্যই আন্দোলন করেছি।আমাদের এ রক্ত যেন বৃথা না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীই চায় দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। আশা করি উপাচার্য আমাদের দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত দিবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, 'যেহেতু এতোদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পুর্ন প্রশাসন কাঠামো ছিল না, তাই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তাই আগামী রবিবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা জরুরি মিটিং ডেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।' উপাচার্যের আশ্বস্তে এসময় শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত ঘোষণা করেন। একইসাথে রোববারে শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার গণপিটুনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার মৃত্যুর ফলে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জোড়ালো হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসে।