ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সামনেই তার অনুসারী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের এক অনুসারী জানান, দুপুরের পর ইনান ভাইয়ের কাছে তানভীর হাসান সৈকত ভাইয়ের অনুসারীরা জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া গতকাল রাতের মারামারির ঘটনার বিচার দিতে আসছিলেন। এ সময় পলাশ রায় সৌরভ নামে একজন ইনান ভাইয়ের সঙ্গে উচ্চস্বরে এবং বেয়াদবির স্বরে কথা বলায় ইনাম ভাইয়ের অনুসারীদের কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষেপে যায় এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রুপ নেয়।
মারধরের শিকার হওয়া তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী পলাশ রায় সৌরভ বলেন, গতকাল রাতে জগন্নাথ হলের প্রোগ্রামে জুনিয়রদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়, সেই ঝামেলাটা সিনিয়রদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়। তখন ক্যান্ডিডেটদের মধ্যকার একজন ইনান ভাইয়ের গ্রুপে চলে আসে। এটা নিয়ে একটু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এরপর যখন আমরা আমাদের নেতাকে বিদায় দিয়ে ফিরতেছিলাম, তখন ইনান ভাইয়ের সমর্থকরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এই হামলায় আমাদের এক ক্যান্ডিডেটের মাথা ফেটে যায় এবং তার মাথায় ১৪টা সেলাই লাগে। তার অবস্থা খুবই খারাপ।
তিনি বলেন, আমরা ১৫-২০ জন আজ দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে গতকাল রাতের ঘটনা ইনান ভাইকে জানাতে এবং বিচার দিতে গেলে তার সমর্থকরা আজ আবার আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা একদম অতর্কিত হামলা করেছে। এ সময় আমাদের দুজন জুনিয়রের হাত কেটে যায়। এটা তারা ইনান ভাইয়ের উপস্থিতিতেই করেছে। উনি মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে চেয়ারে বসা ছিলেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, গতরাতে জগন্নাথ হলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের সঙ্গে আমার অনুসারীদের একটা ঝামেলা হয়। এ ঘটনার জন্য মধুর ক্যান্টিনে আজ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে আমার কর্মীরা বিচার দিতে গেলে তার সমর্থকরা আবারও পলাশ এবং অপূর্বসহ কয়েকজনকে মেরেছে। গত রাতেও ওদের ওপরে হামলা করেছিল।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, একটা ঝামেলা হয়েছে মধুর ক্যান্টিনে, এরকমটা আমি শুনেছি। ওখানে আমার যারা ক্যান্ডিডেট ছিল তাদেরকে আমি বিস্তারিত খতিয়ে দেখে আমাকে জানাতে বলেছি। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আমরা দেখবো, কে অপরাধী। অপরাধী যেই হোক না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।