বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় শীর্ষে ঢাবি, দ্বিতীয় ড্যাফোডিল, তৃতীয় অবস্থানে বুয়েট
ছবি: সংগৃহীত
২০২৩ বাংলাদেশ থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের সংখ্যায় শীর্ষে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
স্কোপাসের গবেষণা ডেটাবেজে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনলাইন সাময়িকী সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কোপাস তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক নথিপত্র নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
স্কোপাসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে ১ হাজার ৪১০টি প্রকাশনা নিয়ে গবেষণার প্রথম স্থান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা আগের বছর ছিল ১ হাজার ২৯৩টি।
আর ১ হাজার ৮০টি প্রকাশনা নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ৮৩১টি প্রকাশনা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আর চতুর্থ অবস্থানে আছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ষষ্ঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অষ্টম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নবম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দশম স্থানে রয়েছে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশিদের গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, চিকিৎসা, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩ হাজার ২২৭টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রকাশনার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়লেও প্রকাশনার দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখনও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে, যদিও তিন দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা প্রায় একই।
স্কোপাসের গবেষণা ডেটাবেজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ভারতে প্রায় তিন লাখ, পাকিস্তানে ৩৯ হাজার ৯২২, শ্রীলঙ্কায় ৩ হাজার ৭৫৭টি, নেপালে ৩ হাজার ৩৭২টি, আফগানিস্তানে ৫৯৬টি, ভুটানে ২৩২টি এবং মালদ্বীপে ১৩৮টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার মূল কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা অপর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং গবেষণার তহবিল ঘাটতিকে চিহ্নিত করেছেন।
২০২২ সালে বাংলাদেশিদের প্রকাশিত প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৮৪৩টি, ২০২১ সালে ১১ হাজার ৪৪৭টি, ২০২০ সালে ৯ হাজার ১১৬টি এবং ২০১৯ সালে ৮ হাজার ৩০১টি।
স্কোপাস রিসার্চ ডেটাবেজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলোর প্রধান অর্থায়ন পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। অর্থায়ন উৎসের দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বিডিইউ) এবং তৃতীয় হয়েছে চীনের ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন।