ববিতে কেন্দ্রীয়ভাবে বইমেলা আয়োজনের দাবি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রাঙ্গণে প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে পাঁচদিনব্যাপী চলছে বইমেলা। এ মেলা কেন্দ্রীয়ভাবে আরো বড় পরিসরে আয়োজনের দাবি উঠেছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে বইমেলা পরিভ্রমণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
যদিও এবারের বইমেলায় নতুন সংযোজন হিসেবে রয়েছে পাঠক-লেখকদের উৎসব, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়দফা বেদীর সম্মুখে গত রোববার শুরু হওয়া এ আয়োজনে ববির বইপ্রেমীরা বইমেলার সাথে সাহিত্যআড্ডা সংযোজনের প্রস্তাব প্রকাশ করেন।
মেলার প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বইয়ের স্টলগুলোতে ভীড় করে বইপ্রেমী পাঠকবৃন্দ। ভক্তদের কাছে নিজের বই নিয়ে আলাপচারিতার জন্য উপস্থিত হন অনেক লেখক। তবে সবারই প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেলার পরিধি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম বলেন, 'যতটুকু জানি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বইমেলা শুধুমাত্র একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বইমেলা করলে ভালো হয়'।
এবারে ববির বইমেলায় প্রকাশিত 'চন্দ্রা' বইয়ের লেখক ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী চৈতী বড়াল বলেন, 'নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনীর বাইরে খুব একটা বই পাওয়া যায় না এ মেলায়। যদি আরো প্রকাশনী এখানে যুক্ত হতো এবং প্রতিদিন একটি সাহিত্যআড্ডার আয়োজন করা যেতো, তবে শিক্ষার্থীরা আরো সুন্দরভাবে সাহিত্যচর্চার সুযোগ পেতো'।
মেলার আয়োজকদের একজন সামিউল ইসলাম সিফাত জানান, এটি তাদের সপ্তম বারের আয়োজন। মূলত বিখ্যাত সব বইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রচিত বইগুলোও স্থান পায় এ মেলায়। প্রতি বছর এ ধরণের বই উৎসব করতে পেরে খুশি তারা নিজেরাও।
এবারের মেলায় বিভিন্ন লেখকের প্রায় দুই হাজার বইয়ের প্রদর্শনী করা হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সদ্য সমাপ্ত অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত বইগুলো।
কেন্দ্রীয়ভাবে বইমেলার আয়োজন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.খোরশেদ আলম বলেন, 'বর্তমানে যে বইমেলা সামাজিক সংগঠনগুলো করছে সেখানেও আমরা সহযোগিতা করছি। বন্ধুসভার পাশাপাশি আরো কোনো সংগঠন বা প্রকাশনা থেকে বই মেলার আয়োজন করে সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে থাকবে।'
এএজেড