'আমরা দেশ গড়ার শ্লোগান শুনতে চাই'

রাজনীতি যেন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে সেটার দিকে নজর দিতে হবে। আমরা দেশ গড়ার ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার শ্লোগান শুনতে চাই। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে গবেষণা নৈপুণ্যের সম্মাননাস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডরমিটরি কাম গেস্ট হাউজের উদ্বোধন করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ জ্ঞান চর্চা এবং জ্ঞান সৃষ্টি। কিন্তু আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড অনুপ্রেরণা দিবে বলে আমি মনে করি। আমি আশা করবো আগামীতে এটা অব্যাহত থাকবে এবং সম্প্রসারিত হবে।
আমি ছাত্রনেতাদের বলবো আপনারা রাজনীতি করার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমৃদ্ধ করবেন। এই ক্যাম্পাস অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। কিন্তু এখানে সফটওয়্যার চর্চা করা দরকার। আমাদের লাইব্রেরিগুলো যেন বিসিএস চর্চার কেন্দ্র না হয়। আপনারা বিভিন্ন পেশায় যান কিন্তু স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিজেকে যোগ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ কিভাবে এগিয়ে গেছে, কিভাবে বিশ্বসভায় মাথা উচু করে দাড়িয়েছে এটা আপনাকে জানতে হবে। যে যেই বিষয়েই পড়ুক না কেন ভাষা জ্ঞান, আইসিটি জ্ঞান, গবেষণা জ্ঞান জানতে হবে অবশ্যই। শিক্ষক এবং নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়পগুলোর প্রতি নজর দেওয়ার অনুরোধ করবো।
গবেষণায় অবদানের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে ১৭ জন শিক্ষককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এরমধ্যে আউটস্ট্যান্ডিংয়ে ৪জন হলেন, মোঃ শরীফ হোসেন, মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, স্বপন চন্দ্র মজুমদার এবং মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন। স্পেশাল ক্যাটাগরিতে ৩ জন হলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস, মোঃ খলিলুর রহমান এবং মোহাম্মদ কামাল হোসাইন। জেনারেল ক্যাটাগরির ১০ জন হলেন, পার্থ চক্রবর্তী, মিথুন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মেশকাত হাজান, সাদিয়া জাহান, ফয়েজ আহাম্মেদ, শারমিন আকতার রূপা, মোঃ আবদুল মাজেদ পাটোয়ার, প্রদীপ দেবনাথ এবং মোঃ আবদুল হাকিম।
আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের, বিভিন্ন বিভাগের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আজকের দিনটি আনন্দের এবং গর্বের। তিনি যে কারণে উপস্থিত হয়েছেন তাহলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা গবেষণায় অবদান রেখেছেন তাদেরকে প্রথমবারের মতো গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেয়ার জন্য। এর আগে আমরা ১৯টি বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ দিয়েছি। আজকে অ্যাওয়ার্ড যারা পাবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আমি মাননীয় মন্ত্রীকে শত ব্যস্ততার পরেও এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এএজেড
