এখনো সরানো হয়নি রাবির গাছে পেরেক লাগানো ডাস্টবিন

গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই। সেই অক্সিজেন ছাড়া পৃথিবীর কোনো প্রাণীই বাঁচতে পারে না। অক্সিজেন ছাড়াও গাছ আমাদের ছায়া, ফল, ফুল ও জ্বালানি কাঠ দেয়। আর সেই গাছে গাছে পেরেক লাগিয়ে ডাস্টবিন লাগানো হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের পেছনে একটি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের রাস্তার পাশে তিনটি ও সাবাস বাংলাদেশ মাঠে দুইটি গাছে পেরেক লাগিয়ে ডাস্টবিন লাগানো হয়েছে।
গত ২৯ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে লাগানো সাইনবোর্ড-ব্যানার, ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়। কিন্তু ১৫ ডিসেম্বর আবার গাছে পেরেক দিয়ে ডাস্টবিন লাগিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গাছে পেরেক লাগানোর বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আবু সায়েম বলেন, প্রশাসনের সব কাজে দায়সারা মনোভাব এমন কাজের দ্বারাই বোঝা যায়। গাছে পেরেক লাগিয়ে ডাস্টবিন লাগানোর প্রয়োজন কী বুঝি না। তার দিয়েও তো বেঁধে দিতে পারত। প্রশাসনের এমন কাজ আমার ভালো লাগেনি।
আরেক শিক্ষার্থী উজ্জল বলেন, গাছে পেরেক লাগানোর প্রভাব এখনি আমরা পাব না। গাছগুলোতে পেরেক লাগানোর ফলে যখন ধীরে ধীরে গাছগুলে মারা যাবে, তখন বোঝা যাবে। আমরা প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতায় পড়ব। তখন এমন কাজের প্রভাব বুঝতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামের সঙ্গে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এবিষয়ে জানি ও দেখে এসেছি। আমরা প্রথমত ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক ও টেলিফোন পোলগুলোতে ডাস্টবিন লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু জায়গায় ডাস্টবিন স্থাপনের উপায় না থাকায় তারা কয়েকটি গাছে পেরেক দিয়ে ডাস্টবিনগুলো লাগিয়েছে। তবে কাজটি ম্যাস আকারে করতে দেওয়া হবে না। আমি এজন্য যারা দায়িত্বে ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলেছি ও বকা দিয়েছি। বলেছি আমরাই অন্যদের এমন কাজ করতে নিষেধ করি, আর সে কাজ তো আমরা করতে পারি না।
এসএন
