বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাবি ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আনন্দ র্যালী করেছে শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর থেকে আনন্দ র্যালী শুরু হয়, যা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে হল সম্মুখে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, 'যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তন ছিলো প্রেরণা, নির্ভরতা ও বাংলার জনমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোক শিখা। মুক্তিকামী জনতার স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ সংগ্রামে ত্যাগ-তিতিক্ষার পর তিনি আবার হাতে তুলে নেন দেশ গড়ার দায়িত্ব। বাংলার অসহায়-মেহনতি মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির নতুন লড়াইয়ে তিনি লড়েছেন আমৃত্যু।'
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের স্মার্ট কর্মী দরকার। এই স্মার্ট কর্মীরাই আগামির স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করবে।'
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, 'আজকের এই দিনে জাতির পিতা বাংলার মাটিতে ফিরে এসে স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছিলেন। তিনি বাংলার মানুষকে স্বাধীন, সুখী ও সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করে গেছেন। পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের দাঁতভাঙ্গা জবাবের জন্য ডাক দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের।
বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যাও কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ তাকে ২১ বারের বেশী হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা এই চেষ্টা করছে তাদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সহ্য করবেনা। স্বাধীন এই দেশে কোন ধরনের অপরাজনীতির চেষ্টা করা হলে ছাত্রলীগ দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।' এসময় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড
