ইবিতে নাটক 'একটি অবাস্তব গল্প' পথস্থ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নাটক 'একটি অবাস্তব গল্প' পথস্থ হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে বিমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'একটি অবাস্তব গল্প' নাটক অবলম্বনে এটি পথস্থ হয়। নাটকে শ্রমিক মজুরের কর্মহীন জীবনের গল্প ও শ্রেণি বৈষম্যের বিরুদ্ধে উচ্চারিত এক আধুনিক কণ্ঠস্বর হিসেবে ক-মন্ডলকে তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদের নির্দেশনায় নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আবির আদনান (জেলার), মোবারক হোসেন আশিক (ক-মন্ডল), লোকমান হোসেন শাকিল (ডাক্তার), শাহরিয়ার প্রিন্স (কমল), সোহরাব হোসেন (বাচনস্পতি), মাহবুব হোসেন (রামসিং), তাওহীদ তালুকদার (কেষ্ট) প্রমুখ।
নাটক চলাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, অধ্যাপক সাইফুজ্জামান, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ল্যাব সহকারী গাউসুল আজম রিন্টু, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী নাটকটি উপভোগ করেন।
জানা গেছে, ক-মন্ডল পাটকল শ্রমিক। বাড়িতে তার পিতা অসুস্থ। এদিকে দুইমাস ধরে কারখানার শ্রমিকদের বেতন বন্ধ। এরপর ক-মন্ডলেরা আন্দোলনে নামলে কারখানার মালিক কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। অভুক্ত শ্বশুর ও বাচ্চাদের কথা ভেবে ক-মন্ডলের স্ত্রী পাশের বাড়ি থেকে চাল চুরি করে। ক-মন্ডল এটা মেনে নিতে পারেন না।
তাই বউকে শাসানোর এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরলে মৃত্যু হয় বউয়ের মৃত্যু হয়। এরপ হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় হয় তার। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পূর্বে শেষ ইচ্ছা শুনতে চায় জেলার। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক-মন্ডল পান্তা ভাত ও লংকা খেতে চাওয়া হয়। পান্তা ও লংকা ভোর রাতে জোগাড় করা যেন প্রায় অসাধ্য ব্যাপারে পরিণত হয়।
ফাঁসিতে ঝুলানো আগে চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখে তিনি মারা যান। পরে অবিশ্বাস্য উপায়ে ডাক্তার তাকে জীবিত করে। পরে তার কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে পারেন না। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করা হয়। এতে তার সব মনে পড়ে যায়। ক-মন্ডলের কথা শুনে জেলারসহ সবাই ব্যথিত হয়। এভাবে সমাপ্ত হয় নাটকের।
বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ বলেন, নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ ও ঘুনে ধরা এ সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এএজেড
