ঢাবির শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ অসীমতার স্তম্ভে বিশালতা, অন্তর্ভুক্ততা ও উদারতা’র নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন ও এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নিসার হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন, মৌলিক দর্শন ও মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্তকে করে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এই স্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। নান্দনিক এই স্থাপনা নতুন ও অনাগত প্রজন্মের কাছে উদারনৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে এবং তারা এই স্থাপনা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জন সম্পর্কে জানতে পারবে।
উপাচার্য এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে পরামর্শ ও আর্থিক অনুদান প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শতবার্ষিক এ স্মৃতিস্তম্ভের বেদির আয়তন ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট), মূল স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট ও উচ্চতা ২৫ ফুট। এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যাস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি হিস্ট্রি প্যানেল নির্মাণ করা হবে।
এ ছাড়াও এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকবে। মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য মলচত্বর এলাকার গাছপালা ঠিক রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে ‘Construction of Centenary Monument: Celebrating 100 years of the University of Dhaka and Golden Jubilee of Independence of Bangladesh’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘শতবর্ষ মনুমেন্ট’-এর স্থাপনা নকশা প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ‘নিন আর্কিটেক্টস’ বিজয়ী হয়।
এসএন
