বিডি অ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথনে দ্বিতীয় ‘টিম এনইউবি’
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অ্যাপ প্রতিযোগিতা ‘বিডি অ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথন-২০২২’ এ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম।
প্রতিযোগিতাটির সমাপনী এবং স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সেরা ১০টি দলকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দলে ছিলেন তিন শিক্ষার্থী। তারা পুরস্কার হিসেবে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা পান।
আয়োজকরা জানান, ডিজিটাল ম্যাচমেকিং সার্ভিস অ্যাপ ‘ই-বিয়ে’ বানিয়ে, দেশের প্রায় দুই হাজার টিমকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ‘টিম এনইউবি’।
ঢাকার ‘নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের তিন শিক্ষার্থী, সাদ্দাম হোসেন, মাহমদু হাসান ইমন এবং ইমরান খান মিলে এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন।
বিআইসিসি ভবনের সেলিব্রেটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— রবির সিইও রাজীব শেঠি, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ এবং কোম্পানির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বেসিস এর সভাপতি রাসেল আহমেদ। আর উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আয়মান সাদিক। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের বড় বড় টেক ইউটিউবার সহ স্বনামধন্য অনেকে।
ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২ এ বছর আয়োজন করে বিডি অ্যাপ। যা দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অ্যাপ হ্যাকাথন। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আইডিয়া, প্রোটোটাইপ, এমভিপি এবং সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট তৈরি করে জিতে নিতে পেরেছে মোট পাঁচ লাখ টাকার পুরস্কার। বিডি অ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথন মূলত লোকাল ডেভলপারদের তৈরি ইনোভেটিভ ও কাজের অ্যাপ খুজেঁ বের করে তা লঞ্চ ও প্রোমোট করার উদ্দেশে তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম।
এ বছর বিডি অ্যাপস আয়োজিত এই হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীরা ২, ৩ অথবা ৪ জনের টিম তৈরি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। যার মাধ্যমে তারা নিজের অ্যাপের আইডিয়া ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সামনে উপস্থাপন করতে পারে।
পুরো বাংলাদেশ থেকে প্রায় হাজারের অধিক ডেভলপার মিলে দুই হাজারের অধিক টিম রেজিস্ট্রেশন করে। প্রথম ধাপে দুই হাজারের অধিক রেজিস্টারকৃত টিম থেকে ৩০০ টিমকে রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা এবং চট্টগ্রাম -এই পাঁচটি রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণকৃত ৩০০ এর অধিক টিম থেকে ৩৬টি টিম ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। ফাইনাল রাউন্ডে এসে দশটি টিমকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আরএ/