ঢাবিতে ছাত্রদলের প্রবেশ ঠেকাতে ছাত্রলীগের অবস্থান
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিএনপি কিংবা ছাত্রদলের প্রবেশ ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, মধুর ক্যান্টিন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), দোয়েল চত্বর, পলাশী মোড়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা ও নীলক্ষেত পয়েন্টসহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ সময় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্যবিদয়ী সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ। আমাদের লাশের মিছিলের উপর দিয়ে, পোড়া মানুষের ভয়ার্ত চিৎকার আর রোনাজারির উপর ভর করে, জনগণকে ভয় দেখিয়ে যারা হত্যার রাজনীতি কায়েম করতে চায়, তাদের এই বাংলার মাটি থেকে মূলোৎপাটন করতে হবে।’
এদিকে গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ ডেকেছে বিএনপি। নাম প্রকাশে ছাত্রলীগের এক কর্মী জানান, ছাত্রদলের প্রবেশ ঠেকাতে সকাল ৭টা থেকে নেতাদের নির্দেশে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অবস্থান বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল কখনো সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। এই কাজ করে ছাত্রলীগ। তা ছাড়া, ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের কর্মসূচির নির্দেশনা আমরা পাইনি। সুতরাং ছাত্রলীগের অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট। আর তা ছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। ছাত্রলীগ প্রতিহত করার কে? এটা কি ছাত্রলীগের কাজ?
এর আগে বেলা ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, ৩০০ জন নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশের ৫০জন সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে, বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এমএমএ/