নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েও বিশ্বকাপ উন্মাদনা
কাতারে শুরু হয়েছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২। মরুর দেশের এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। পাড়ার গলি থেকে শুরু করে অফিস, আড্ডা, চায়ের দোকানেও উপস্থিত বিশ্বকাপের উন্মাদনা। ফুটবল বিশ্বকাপের এই উন্মাদনা থেকে বাদ যায়নি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ও।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একদল ব্রাজিল আরেক দল বিভক্ত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনায়।সমর্থকরা তাদের নিজেদের দলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে উপস্থাপন করছে নানান যুক্তি-তর্ক। কেউ বলছে সেভেন আপ আর কেউবা বলছে হাত দিয়ে গোল। আবার কেউ কেউ জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগালের মতো দেশকে সমর্থন করে খোঁচা দিচ্ছে আর্জেন্টিনা- ব্রাজিলের সমর্থকদের।
ইতোমধ্যে সমর্থকরা তাদের নিজ নিজ দলের সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, অনুষদ, হল, বিভাগের কমিটি ঘোষণা করেছে। প্রিয় দলের খেলার আগে মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে। এসময় সমর্থকরা তাদের প্রিয় দলের নামে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে৷ আর্জেন্টিনা বা জার্মানির মত দলগুলো পরাজিত হলে অন্য দলের সমর্থকরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবার সমবেদনাও জানাচ্ছে।
বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচগুলো বঙ্গবন্ধু হলের উদ্যোগে দেখানো হচ্ছে বড় পর্দায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা সহ প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী একসাথে বড় পর্দায় খেলা দেখছেন। এমনকি স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে খেলা উপভোগ করেছেন।
প্রিয় দলকে সমর্থন করতে জার্সি পরে হাজির হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আর্জেন্টিনার খেলা থাকলে সেদিন ব্রাজিল,জার্মানি, ফ্রান্স এবং পর্তুগালের সমর্থকরাও উপস্থিত হন। না, আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করতে নয়। প্রতিপক্ষ দলকে সমর্থন করতে। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে বল এলেই চিৎকার-চেঁচামেচি বাহবা-হাততালিতে বঙ্গবন্ধু হল কাঁপিয়ে তুলছেন তারা, আর গোল হলে তো কথাই নেই।ব্রাজিল বা অন্য কোনো দলের খেলার সময়ও ঘটছে একই কাহিনী। তখন সবাই মিলে সাপোর্ট করছে প্রতিপক্ষ দলকে।প্রতিপক্ষ দল জিতে গেলে প্রতিপক্ষ দলের স্লোগানে করা হচ্ছে মিছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের টিভির রুমগুলোতেও একই চিত্র লক্ষ করা যাচ্ছে।
কারো দাবি, কাতার বিশ্বকাপ নেবে ব্রাজিল আর কেউবা মনে করছেন আর্জেন্টিনাই এবার ফেভারিট। এই বিতর্কে প্রত্যেক দলের সমর্থকরাই নিজের দলের ইতিহাস, রেকর্ড, বিশ্বকাপের সংখ্যা জানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই উন্মাদনায় মেতেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরাও।
এ বিষয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থক আহসান হাবীব বলেন, মেসির নেতৃত্বে বর্তমান আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা স্কোয়াড। আমরা আশাবাদী লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই এবার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খরা কাটবে।
ব্রাজিল সমর্থক জয়ন্ত সাহা বলেন, এক মেসির পারফরম্যান্স দিয়ে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয় পুরোপুরি অসম্ভব। ব্রাজিল সবসময় শৈল্পিক ফুটবল খেলে থাকে৷ আমরা আশাবাদী ব্রাজিল কাতার বিশ্বকাপে তাদের ষষ্ট শিরোপা নিশ্চিত করবে।
এএজেড