চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন যখন ক্যানভাস
গ্রামীণফোনের অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড ডিজিটাল প্রডাক্ট ‘স্কিটো’ সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের ৯টি বগিকে ক্যানভাস বানিয়ে রাঙিয়ে তুলেছে তারুণ্যের রঙে। নবীনের জয়গানে করে তুলেছে খুব প্রাণবন্ত।
স্কিটোর মাধ্যমে শাটল ট্রেনের প্রতিটি বগিতে শিল্পকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অনন্য সৌন্দর্য।
স্কিটো ছাত্র, ছাত্রীদের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজগুলো করেছে। তারুণ্যের রঙে রাঙানো এ বৃহৎ ক্যানভাসটির মাধ্যমে তাদের ভালোবাসা, উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস ও উৎসব প্রকাশিত করেছে। শাটলের ক্যানভাসে শিল্পকর্মটি ফুটিয়ে তুলেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের গেস্ট লেকচারার অরূপ বড়ুয়া বলেন, প্রতিদিন হাজার, হাজার ছাত্র-ছাত্রী শাটলে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। শাটলের এমন রূপান্তরে তারা রীতিমত উচ্ছ্বসিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনটি দেখতে এখন আগের চেয়ে নতুন, প্রাণবন্ত হয়েছে। বগিগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে শিল্পের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। আমার মতে, একটি অসাধারণ উদ্যোগ। বিশেষ করে, যারা এখানে নতুন ভর্তি হয়েছে, ট্রেনটি তাদের ক্যাম্পাস জীবনকে আরো অনেক বেশি স্মরণীয় করে তুলছে। সেইসঙ্গে তাদের মাঝে উদ্দীপনাও জাগিয়ে তুলছে।’
কাজী এমরান মাহবুব, হেড অব স্কিটো, অসাধারণ এ উদ্যোগ নিয়ে বলেছেন, ‘ডিজিটাল দুনিয়ায় স্কিটোর নিজস্ব একটি অবস্থান রয়েছে। এখন ট্রান্স-মিডিয়া স্টোরি টেলিংয়ের মাধ্যমে বাস্তব জগতের মত শাটলে মিশে গিয়েছে।
প্রথম ব্র্যান্ড হিসেবে শাটলে নিজেদের পরিচয় –তারুণ্যকে, তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। তরুণরাই আমাদের অগ্রাধিকার। নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার দলগত প্রচেষ্টা দূরদর্শী উদ্যোগে পরিণত হয়েছে।’
ওএফএস/