সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: সমস্যা-সম্ভাবনার ৪৩ বছর

স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। কুষ্টিয়া থেকে ২২ ও ঝিনাইদহ থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ ৪৪ বছরে পা রাখল।

দীর্ঘ ৪৩ বছরের পথ চলায় নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্বগৌরবে উচ্চশিক্ষার প্রদীপ্ত মশাল জ্বালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইসলামিক ও আধুনিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যা দেশের প্রতিটি প্রান্তে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে কান্ডারির ভূমিকা পালন করছে।

শুরু থেকে বর্তমান
১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাই এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গাজীপুর বোর্ড বাজারে এবং ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অপর এক আদেশে কুষ্টিয়া শহরে স্থানান্তর করা হয়।

১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদের অধীন চারটি বিভাগে আটজন শিক্ষক ও ৩০০ ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরের সবুজ চত্বরে মাটির সড়ক আর সবুজ গাছপালার মধ্যে গড়ে ওঠে দুটি ভবন। ভবন দুটি নিয়েই শুরু হয় মূল ক্যাম্পাসের কার্যক্রম। বর্তমানে ৮টি অনুষদের অধীন ৩৬টি বিভাগে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

অন্যান্য অনুষদে বিভাগ বৃদ্ধি পেলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদে প্রতিষ্ঠাকালীন তিন বিভাগই রয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৪০৩ জন, কর্মকর্তা ৪৯৪, সহায়ক কর্মচারী ১৩২, সাধারণ কর্মচারী ১৫৮, এমফিল গবেষক ২১৯ এবং ২৯০ জন পিএইচডি গবেষক রয়েছেন। এ ছাড়া এখানে ১টি ইনস্টিটিউট ও ১টি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপাচার্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং উপ-উপাচার্য হিসেবে ইবির আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

ক্যাম্পাস যেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শের স্বারক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরের প্রতি ইঞ্চিতে দৃশ্যমান। এ লক্ষ্যে প্রধান ফটকের সন্নিকটে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু হল ফটকের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মুক্তির আহ্বান’ ও ‘শাশ্বত মুজিব’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রধান ফটকের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’, দক্ষিণে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের নাম ‘বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন’ করা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উচ্চতর গবেষণার্থে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর হিসেবে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রয়াত শামসুজ্জামান খানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি মারা যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে এ পদটি খালি রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং একুশে কর্নার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র
৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের আওতায় নয়টি ১০তলা ভবনের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি ছাত্র ও দুটি ছাত্রী হল, একটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি, কর্মচারীদের জন্য একটি, নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের দ্বিতীয় ব্লক এবং নতুন প্রশাসন ভবন নির্মাণ।

১০তলা বিশিষ্ট আবাসিক হলগুলো নির্মাণ শেষ হলে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত হবে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর হবে এবং নতুন নতুন বিভাগ খোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলে।

প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টির মধ্যে ৫টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ক্রীড়াঙ্গনে এগিয়ে ইবি
ক্রীড়াক্ষেত্রে ইবির রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভারোত্তোলন, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান ইভা দুইবার দেশের দ্রততম মানবী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল প্রতিযোগিতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় নয়বার, ফুটবলে তিনবার ও অ্যাথলেটিকসে চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এ ছাড়াও ভলিবলে তিনবার রানার্স আপ এবং ক্রিকেটে তিনবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পসের তৃতীয় আসরের হ্যান্ডবল ফাইনালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এবং বাস্কেটবল ইভেন্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে ইবি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

আবাসন সংকট
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থায় রয়েছে ৮টি হল। এর মধ্যে ৫টি ছাত্রদের এবং ৩টি ছাত্রীদের। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। বর্তমানে ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও মেসে থাকছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। আর সিংহভাগ শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরও ক্যাম্পাসে আবাসন ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত।

পরিবহন সংকটে শিক্ষার্থীরা
শহরে অবস্থানকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের জন্য একমাত্র পরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে ডাবল ডেকার ১টি, বড় বাস ১৩টি, এসি কোস্টার ৭টি, ৫টি মিনিবাস ও ২টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিবহন না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাড়ায় চালিত পরিবহনের ওপর নির্ভর করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের প্রায় ৮ শতাংশ পরিবহন খাতে ব্যয় হলেও প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরেও পরিবহন ভোগান্তি কাটেনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বাসসমূহে শিক্ষার্থী পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সেশনজট রয়েই গেল
৪৪ বছরে দাঁড়িয়েও সেশনজটের কবল থেকে মুক্ত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২৫টি বিভাগের মধ্যে ১৩টি বিভাগের ফলাফল প্রকাশ, চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন কিংবা চলমান থাকলেও বাকি ১২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা তো দূরের কথা এখনো ক্লাসই সম্পন্ন হয়নি। আবার কোনো কোনো বিভাগে ক্লাসই শুরু হয়নি।

নাম না প্রকাশের শর্তে পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রায় ৬ মাস আগেই আল-কুরআন বিভাগ শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। এ ছাড়া অনেক বিভাগ চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করে রেজাল্ট প্রসেসিংয়ে ব্যস্ত আছেন। অথচ আমরা পিছিয়েই থাকলাম, ক্লাসই শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি রোডম্যাপে এসে সেশনজট নিরসনে কাজ করার দাবি জানাচ্ছি।

মাত্র চারবার সমাবর্তন
৪১ বছরের ইতিহাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র চারবার। নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত ডিগ্রির সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে নেওয়ার সুযোগও হচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থীর।

নানা অপ্রাপ্তির ঢেঁকুর
প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরেও শিক্ষার্থীদের অপ্রাপ্তির শেষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে তারা তুলে ধরেছেন নানা অপ্রাপ্তির কথা।

চলমান শিক্ষাবৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা, অনতিবিলম্বে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষাত্তোর সার্টিফিকেট উত্তোলন পদ্ধতি সহজ ও আধুনিকায়ন করা, ছাত্র-শিক্ষক নোংরা রাজনীতির নাগপাশ থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চাকরণ, ইকসু গঠন ও নির্বাচন দিতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও হলের ডাইনিংগুলোতে খাবার ও পরিবেশের মান বৃদ্ধিকরণ, শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য প্রত্যেক ভবনের টয়লেট সংস্করণ, সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা ও ধর্মীয় কার্যাদি পালনের জন্য আলাদা আলাদা উপাসনালয় নির্মাণ, সকল প্রকার বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করাসহ বিভিন্ন দাবি জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিষ্ঠার অনেক বছর পার হলেও বিভিন্ন সমস্যা রয়েই গেছে। আমরা সংকট সমাধানের চেষ্টা করছি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আরও বেশি করে মনোনিবেশ করবেন বলে আশা রাখি।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এখন থেকে সৌদিতে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই নিয়ম গত ১৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করবে এবং সৌদি আরব ত্যাগের সময় পরিশোধিত ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সৌদির পর্যটন খাত আরও চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, কর ফেরতের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের পক্ষে কর ফেরতের আবেদন এবং তা কার্যকর করবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন বা অনিয়ম হলে, পর্যটক ও সেবাদাতা—উভয়ই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবেন।

জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোর পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা চলমান থাকবে যতদিন না পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর হয়। জেডএটিসিএ’র গভর্নর এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।

নিয়মাবলির মধ্যে থাকবে—পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্ত, কোন পণ্য এই সুবিধার আওতায় আসবে, ন্যূনতম ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতারা সুবিধা দিতে পারবেন এবং কর ফেরতের আবেদন পদ্ধতি।

অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএ-কে তা জানাতে হবে। তবে পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, আগের মালিক পুরনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাবেন না এবং তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু