ইবির প্রধান প্রকৌশলী অবরুদ্ধ, কার্যালয়ে তালা
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সাবেক প্রধান প্রকৌশলী) আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে অজ্ঞাত এক ছাত্রীর আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় টুটুলের বিচার দাবিতে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোঃ তারেকের অফিস ভাঙচুর এবং প্রকৌশল অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রকৌশল অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে একই দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন প্রকৌশল দপ্তর। এছাড়া প্রকৌশলী টুটুলের বিষয়টি বিব্রতকর উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, টুটুলের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রধান প্রকৌশলীর অফিসে যায়। আলোচনার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাঙচুর করে এবং প্রকৌশল অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে প্রধান প্রকৌশলীসহ কয়েকজন ভেতরে আটকে পড়ে। আন্দোলনে ইশতিয়াক, শাকিল, বিন্ত, শাহীন পাশা, উম্মে হাবীবা হ্যাপীসহ ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থীকে দেখা যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক পরে তারা প্রকৌশল অফিসের তালা খুলে দেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
প্রশাসনেকে প্রদান করা স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের নামে ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, যারা দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তাদেরকে বিব্রত করছে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করেছে।
এদিকে প্রকৌশলী টুটুলের অডিও ফাঁসের ঘটনায় উল্টো প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় ভাঙচুর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। ঘটনাটি তারা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণেদিত বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোঃ তারেক বলেন, তারা আমার অফিসের দরজায় লাথি দিয়েছে এবং আলমারির কাঁচ ভাঙচুর করেছে। আমি চাই প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টা দেখবে এবং ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। তারা আলোচনা করে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভাঙচুরের বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেছেন, জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম অডিও ফাঁসের ঘটনায় বলেন, তিনি (টুটুল) যে কাজটি করেছে তা গ্রহণযোগ্য না। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এএজেড