ইবিতে ‘জনবল বৃদ্ধি’ স্থগিত রেখেছে ইউজিসি
নানা অনিয়মের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন করে নিয়োগ (শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী) স্থগিত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটিও করেছে কমিশন। তারা সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পর ইউজিসিতে পাঠানো জনবলের চাহিদার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে জনবল বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউজিসি।
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তার বেতন বৃদ্ধিতে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না সে বিষয়সহ নানা অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখবে কমিটি। কমিটির সদস্য ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ সূত্রে কমিটির বিষয়টি জানা গেছে।
কমিটিতে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অডিট) রবিউল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসির অডিট আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৫তম সিন্ডিকেটে শর্তসাপেক্ষে স্কেল বাড়ানো হয়।
ইউজিসির দাবি, ইবি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘স্কেল জাম্পিং’ করা হয়ে থাকতে পারে। যাদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে তাদের কারও বেতন স্কেল অনুযায়ী ৪৩ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। তবে তাদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। স্কেল জাম্পিংয়ের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ইবি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করা হলে সেটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে অভিযোগ রয়েছে ইবিতে স্কেল জাম্পিং করা হয়েছে। যার যে স্কেলে বেতন পাওয়ার কথা তারা তার চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন।
কমিটির আরেক সদস্য ফেরদৌস জামান বলেন, অনেকদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল দেওয়া স্থগিত আছে। এসব নিয়েই মাসের শেষের দিকে একটা পরিদর্শন টিম যাবে। তবে পূর্বে অনুমোদন দেওয়া নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
৯ নভেম্বর চিঠিটি ইস্যু হলেও এখন পর্যন্ত তা হাতে পাননি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। চিঠি এখনো হাতে পাইনি।
এসএন