সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় যেন পারিবারিক পুনর্বাসন কেন্দ্র

শিক্ষক, কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী, কারো স্ত্রী, কারো ভাই, ভাতিজা, ভাগিনা, বোনজামাই, শ্যালিকা কারোবা দেবর একই সাথে চাকরি করছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে এমন আত্মীয়তার সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে। কোন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেলে লিংক-লবিং এবং প্রভাব খাটিয়ে স্বজনদের চাকরি পেতে সহায়তা করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মযজ্ঞে স্বজনপ্রীতির এক বলয় গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন হয়ে উঠেছে পারিবারিক পুনর্বাসন কেন্দ্র। এই স্বজনদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম এবং প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত।

শিক্ষকদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামালের স্ত্রী আফরোজা সুলতানা দোলন-চাঁপা হলে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব হোসেনের মেয়ে অন্তরা মাহবুব কর্মরত আছেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে।

বর্তমান শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.শেখ সুজন আলীর স্ত্রী ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস একই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল রানার স্ত্রী কর্মরত আছেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী নিশাত নাবিলা কর্মরত আছেন বঙ্গমাতা হলের সেকশন অফিসার হিসেবে।

এছাড়াও নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মামুন রেজার স্ত্রী নুসরাত শারমিন তানিয়া একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে, সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার সরকারের স্ত্রী ইন্দ্রানী কর্মকার একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীনের স্ত্রী ইসমতআরা ভূঁইয়া ইলা একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কুমার মন্ডলের স্ত্রী শিলা সরকার পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক হিসেবে, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জুয়েল মোল্যার শ্যালক মোঃরাহাত হাসান দিদার কর্মরত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার মোঃআশিক সিদ্দিকির ভগ্নিপতি এ.কে. এম. আমিনুল হক চারুকলা বিভাগের সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার রাজশ্রী সাঈদের বোন দেবশ্রী ব্যানার্জী কর্মরত আছেন রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। ভিসি দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃজাকিবুল হাসানের স্ত্রী জাহানারা নেওয়াজ স্মৃতি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সেকশন অফিসার, এবং বড় ভাই শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে কর্মরত।

এছাড়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃলিয়াকত হাসানের স্ত্রী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে, উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাহিদুল হোসেনের স্ত্রী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে, প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার শীলের স্ত্রী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে, অগ্নিবীনা হলের সহকারী পরিচালক(অর্থ) এস এম কাউসার আহমেদের ছোট ভাই ডেমোনস্ট্রেটর হিসেবে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের অতরিক্ত রেজিস্ট্রার(শিক্ষা) কৃষিবিদ আনিছুর রহমানের ভাই এস এম হুমায়ুন কবীর সহকারী রেজিস্ট্রার(এস্টেট) হিসেবে।

মেডিকেল সেন্টারের মেডিকেল এসিস্টেন্ট মোঃ রাশেদুল আলমের ভাই সোহাগ এবং শ্যালক মোঃরাজিবুল হাসান জনসংযোগ দপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে, ফোকলোর বিভাগের পার্সোনাল অফিসার শহীদুল ইসলাম রানার ভাই রাশেদ মিয়া পরিসংখ্যান বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালক নজরুলের অপর দুই ভাই মনির (গাড়িচালক) এবং কাহারুল অফিস-সহায়ক হিসেবে,লোক প্রশাসন বিভাগের মিলন এবং তার আরও দুই ভাই এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মরত আছেন।

এছাড়াও উপরে উল্লেখিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাদেও এরকম আরও অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন যাদের রক্তের বা আত্মীয়তার সম্পর্কের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, স্বজনদের মধ্যে অনেকে চাকরি করতেই পারে, দেখার বিষয় হলো যেই পদে চাকরি করছেন সে সেই পদের যোগ্য কি না। যোগ্য হলে কোনো অসুবিধা নেই।

থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া বলেন, যদি কেউ নিজ যোগ্যতায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয় তাহলে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। তবে অযোগ্য কেউ নিয়োগপ্রাপ্ত হলে সেবিষয়ে অবশ্যই তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার আশিক সিদ্দিকী বলেন, আমার ভগ্নিপতি এখানে কোনো ধরনের আত্মীয়তার সম্পর্কের মাধ্যমে নিয়োগ পাননি। মেধার ভিত্তিতেই তিনি নিয়োগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপরের উল্লিখিত অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর মন্তব্য জানতে চাইলে তারা সকলেই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির বলেন 'আমরা সেই বিবেচনা করে চাকরি দেইনি। যারা চাকরি নিয়েছে এটা তাদের বিষয় তবে অন্যত্র চাকরির সুযোগ থাকলে একই পরিবারের লোক একই প্রতিষ্ঠানে না আসাই ভালো'।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর দে বলেন 'অতীতে কিভাবে নিয়োগ হয়েছে সেটাতো আমার জানা নেই। তবে এইরকম দৃষ্টান্ত আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার আলোকে এটি বেশ আশ্চর্যের'।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এখন থেকে সৌদিতে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই নিয়ম গত ১৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করবে এবং সৌদি আরব ত্যাগের সময় পরিশোধিত ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সৌদির পর্যটন খাত আরও চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, কর ফেরতের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের পক্ষে কর ফেরতের আবেদন এবং তা কার্যকর করবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন বা অনিয়ম হলে, পর্যটক ও সেবাদাতা—উভয়ই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবেন।

জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোর পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা চলমান থাকবে যতদিন না পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর হয়। জেডএটিসিএ’র গভর্নর এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।

নিয়মাবলির মধ্যে থাকবে—পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্ত, কোন পণ্য এই সুবিধার আওতায় আসবে, ন্যূনতম ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতারা সুবিধা দিতে পারবেন এবং কর ফেরতের আবেদন পদ্ধতি।

অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএ-কে তা জানাতে হবে। তবে পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, আগের মালিক পুরনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাবেন না এবং তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু