চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভ
রাজধানীতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে চাকরি প্রত্যাশীরা।
শনিবার (১২ নভেম্বর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম, বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন, বলে জানিয়েছেন তারা।
সমাবেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ করার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় মো. তানভীর হোসেন বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমাদের জীবন থেকে প্রায় ২ বছর সময় হারিয়েছি। দেশের অন্য কোন প্রজন্ম এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আগে হয়নি। তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।
ইমতিয়াজ হোসেন নামে এক চাকরি প্রত্যাশী বলেন, ২০১৮ সালে চাকুরিতে ৩৫ আন্দোলনটি দেশ ব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল ; তখন বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচন ইশতেহারে ওয়াদা করেছিল যে তারা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করবে। কিন্তু চার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা তা বাস্তবায়ন করেনি।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বাড়ানোর জন্য ৫ বার সুপারিশ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের অনীহা ও অবহেলার কারণে সেই সুপারিশ আর বাস্তবায়ন হয়নি। হাজার হাজার ৩৫ প্রত্যাশীরা আজ রাজপথে আসবে এবং তারা তাদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করে বাড়ি ফিরবে।
এ ছাড়া, সমাবেশের আয়োজকদের দাবি, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন বয়স ২৬ পার হয়ে যায়। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের বিদ্যমান সেশনজট যেখানে আরও বেশি বয়স লেগে যাচ্ছে। করোনার বয়সজনিত ক্ষতি আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সর্বশেষ ২৭ থেকে ৩০ বছরের উন্নীত করা হয় ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে। তখন মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর আর এখন ৭৩।
এদিকে, চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা বাড়ানোর দাবিতে চারদিন ধরে আমরণ অনশন করে আসছিলেম বয়সসীমা বাড়ানোর আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক এস বি সোনিয়া চৌধুরী। তিন দিন ধরে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনি অনশন না ভেঙে স্যালাইন চলা অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।
এমএমএ/