কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: অবনতির পরও দেশসেরা ঢাবি
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস (কিউএস) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৩-এ অবনতির পরও দেশসেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
যেখানে দেখা যায় এশিয়ার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৫১তম, ২০২২ সালে ঢাবির অবস্থান ছিল ১৪২তম। সেই দিক বিবেচনায় আনলে নয় ধাপ পিছিয়েছে। র্যাঙ্কিং ঢাবির প্রাপ্ত নম্বর ৩২ দশমিক ৪।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) কিউএস এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-২০২৩ প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তালিকায় এশিয়ার সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ঢাবি পিছিয়ে পড়লেও তিন ধাপ এগিয়েছে বুয়েট, ২০২৩ সালে বুয়েটের অবস্থান ১৯৯। ২০২২ সালে বুয়েটের অবস্থান ছিল ২০২। এ বছর বুয়েটের প্রাপ্ত নম্বর ২৬ দশমিক ৯।
অন্যদিকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি গত বছর তালিকার ২০১৫তম অবস্থানে থাকলে ২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ পিছিয়েছে। এ বছরের তালিকায় নর্থ সাউথের অবস্থান ২০১৯তম। তাদের প্রাপ্ত স্কোর ২৪ দশমিক ৮।
তালিকায় ঢাবি, বুয়েট ও নর্থ সাউথ ছাড়াও বাংলাদেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। সেগুলো হলো-ব্র্যাক, ড্যাফোডিল, চুয়েট, ইস্ট ওয়েস্ট, আইইউটি, ডুয়েট, আইইউবি, কুয়েট, আহছানউল্লাহ, ইউআইইউ এবং এআইইউবি।
এশিয়ার সেরা ৭৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় সবার সেরা হয়েছে চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি (বেইজিং)। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে পেছনে ফেলে সবার সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে, গতবারের সবার সেরা সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এবারের অবস্থান দ্বিতীয়।
২০২৩ সালের র্যাঙ্কিং প্রধানত ১১টি সূচকের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর প্রকাশিত কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং এ অঞ্চলের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নির্ণয় করে আসছে।
এমএমএ/