রাজশাহীতে গণস্বাক্ষর চলছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ সিনেট, কার্যকরসহ ১৬ দফা দাবীতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ দিনের টানা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ।
বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তারা।
তাদের দাবীর মধ্যে আছে-রাকসু ও সিনেট কার্যকর, ভর্তুকিসহ সর্বত্র খাবারের মান বৃদ্ধিকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় বাসের ট্রিপ বৃদ্ধিকরণ, মেডিক্যালগুলোর চিকিৎসা সেবা উন্নতকরণ, সার্বক্ষনিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রাখা, সকল পর্যায়ের সব আবাসন সংকট নিরসন, শ্রেণীকক্ষ ও অন্যান্য অ্যাকাডেমিক সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, রোল নম্বর বাতিলের পর কোড নম্বরের মাধ্যমে সকল পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন, শ্রেণীকক্ষে কম্পিউটার প্রদান, গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি।
দু’দিনে প্রায় ১ হাজার ছাত্র, ছাত্রী স্বাক্ষর করেছেন।
তৃতীয় বর্ষের বোরহানউদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ১৬ দফা দাবীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছি এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে স্বাক্ষরও করেছি। রাকসু আন্দোলন মঞ্চের দাবিগুলো যৌক্তিক, শিক্ষার্থীবান্ধব। আমাদের সকলের চাওয়া। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সকলকেই গণস্বাক্ষর করা দরকার। একাত্মতা পোষণ করা উচিত বলে আমি মনে করছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের যৌক্তিক বিভিন্ন দাবীর সঙ্গে সমর্থন পোষণ করে কয়েকজন সিনিয়র অধ্যাপক স্বাক্ষর প্রদান করেছেন।
পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব তার ছাত্র, ছাত্রীদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেছেন, ‘ভালো উদ্যোগ নিয়েছে ওরা। ছাত্র, ছাত্রীদের কথা বলার তেমন কোনো মাধ্যম নেই। এমন কর্মসূচির যথার্থতা রয়েছে।’
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক আবদুল মজিদ অন্তর জানিয়েছেন, ‘আমাদের দাবীগুলোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ছাত্র, ছাত্রী এবং অধ্যাপকদের সামনে তুলে ধরে আমরা পরে সেমিনারও করব। আমাদের প্রশাসন অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি আছে। এরপর বিক্ষোভ এবং ছাত্র সমাবেশ করব।’
দ্বিতীয় দিনের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, নাইমুল ইসলাম এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মেহেদী মুন্না, আশিকুল্লা মুহিব, রুদ্র আল মুত্তাকিন প্রমুখ।
ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিপুল ছাত্র, ছাত্রী।
লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান এবং আসাদুল্লাহ গালিব।
ওএফএস।