বাঙালির হৃদয়ে তাঁরা চিরকাল বেঁচে থাকবেন : ড. হাফিজা খাতুন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদায় ‘জেলহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
সকাল ১০টায় প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে. এম. সালাহ উদ্দীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’-এর পাশে শোকের কালো কাপড়ে ঢাকা ঘাতকের বুলেটে জেলখানায় নিহত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন।
আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছে প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ইইসিই (ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন), রসায়ন , ইংরেজি, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, লোকপ্রশাসন সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, রোভার স্কাউট গ্রুপসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বলেছেন, ‘জাতীয় বীরদের আমাদের অন্তর থেকে স্মরণ করতে হবে। আমাদের চার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও যুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তারা প্রত্যেকের আমাদের স্বাধীনতা এনে দেবার অগ্নিপুরুষ। তারা অকুতোভয়, সাহসী নেতা ছিলেন। তাদের হত্যাকান্ড ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবার হত্যাকান্ডেরই প্রতিফলন ছিল। তাদের মেরে ফেলে হত্যাকারীরা বিজয় অর্জন করতে চেয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি। বাঙালির হৃদয়ে তাঁরা চিরকাল বেঁচে থাকবেন।’
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন আরও বলেন, “জাতীয় চার নেতার দূরদর্শী, দেশপ্রেমিক, অসাধারণ নেতৃত্ব ও দেখানো পথ আমাদের অনুসরণ করতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-এ আমরা অনেক এগিয়েছি। প্রতিটি সেক্টরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা উত্তরোত্তর ভালো করছি। তাঁদেরকে স্মরণে রেখে, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ও আমাদের জাতির বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই চারজন জাতীয় নেতা অবিশ্বাস্য ও গৌরবময় অবদান রেখেছেন। তাদের নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। তারপর তাদের মেরে ফেলা হয়েছে। তাদের হারানোর বিভাজন মুছে ফেলার জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একত্রে কাজ করে দেশকে, সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে. এম. সালাহ উদ্দীন বলেছেন, ‘আজকের শোকাবহ দিনটি বাঙালির জন্য কলঙ্কময় ও বিভীষিকাময়। ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিই এই হত্যাকান্ডগুলো সংঘটিত করেছে। চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু সম্ভব হয়নি।’
‘জেলহত্যা দিবস’ আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম।
অংশগ্রহণ করেছেন প্রক্টর মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহা, সব অনুষদের ডিন, সব হল প্রভোস্ট, সকল বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রায় সব শিক্ষক, অনেক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা শেষ হয়েছে।
লেখা ও ছবি : বাবুল হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএফএস।