ঢাবিতে তিন মাসে ৪৩ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে প্রায় ৪৯ আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও শাহবাগ এলাকায় তিন মাসে ৪৩টি প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে অন্তত ৪৯ জন আহত হয়েছেন।
আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে ঘটা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পর্যালোচনা করে ‘মাইক্রোগভর্ন্যান্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’ এর এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এর অধিকাংশ প্রতিবাদ সমাবেশ ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায়।
ওই জরিপে দেখা যায়, আগস্ট মাসে ১৭টি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি এবং অক্টোবর মাসে ১০টি করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার, পোশাকের স্বাধীনতা, দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, সীমান্ত হত্যা, বুয়েটে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি চালু, ছাত্রী হলের সংস্কার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, নিরাপদ সড়ক, ইরানের আন্দোলনে সংহতি, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সংস্কার ও রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের দাবির মতো প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ঘটে।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে এ তিন মাসে সবচেয়ে বেশি তৎপর দেখা গেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশনসহ ছাত্র সংগঠনগুলো এ প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারেও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করতে দেখে গেছে।
এ বিষয়ে মাইক্রোগভর্ন্যান্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার, রাজনীতি সম্পর্কে সচেতনতা, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করার সক্ষমতা, ইত্যাদি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সংকুচিত কিংবা সীমিত রাজনৈতিক সুযোগের মধ্যেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তৎপর।
উল্লেখ্য, ‘মাইক্রোগভর্নেন্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
এসএন