কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ‘ইংরেজি’
‘কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’র নবীন বিতার্কিক অন্বেষণ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘ফিফথ ডিবেটর সার্চ : ২০২২’র ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ডিবেটর সার্চ'-এ সব বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংরেজি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ কনফারেন্স রুমে ডিবেটর সার্চের ফাইনাল হয়েছে।
সরকারি দল ছিল ইংরেজি বিভাগ, বিরোধী ফার্মাসি।
বিতর্কে বিরোধী দলকে হারিয়ে সরকারি দল বিজয়ী হয়েছে।
কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ফিফথ ডিবেটর সার্চ প্রতিযোগিতায় বিতর্কে সেরা তার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার দলের প্রধানমন্ত্রী ‘নাদিয়া তাবাসসুম’।
বিতর্ক শেষে তাদের পুরষ্কার ও সাটিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে।
কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আল-নাঈমের সভাপতিত্বে, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় পুরষ্কার প্রদানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. আসাদুজ্জামান, ছাত্র-পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয় পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
আরো ছিলেন বিতর্কপ্রেমী মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম. মঈনুল হাসান ও গণিতের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম. আবদুল্লাহ-আল-মাহবুব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেছেন, ‘এত মানুষকে এই রুমে দেখে আমি খুব আনন্দিত। আমার মতে দুই দলই বিজয়ী হয়েছে। প্রতিযোগিতার প্রত্যেকের যুক্তি ও পাল্টা যুক্তিগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। সরকারের দলের প্রধানমন্ত্রী বিতর্কে বলল, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নতি করতে রিসার্চ দরকার। আমি তার সাথে একমত। আমি ডিবেটিং সোসাইটির দাবীগুলোও পূরণ করে দেব। আমাদের বাজেটের সল্পতা রয়েছে।’
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যুক্তির চর্চা যারা করে, তারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী। আমার দুটি পরিচয় আছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ছাত্রজীবনে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নিবেদিত কর্মী। আমি বলব, সংগঠনে অনেক টানাপোড়েন থাকে। তবুও বিতর্কচর্চা চালিয়ে নিতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো কিছু করতে হলে কালচার সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার কালচারের অভাব আছে। এই কালচারও সৃষ্টি করতে হবে। যখন গবেষক সৃষ্টি হবেন, সমাজে তারা এমন পরিবেশ তৈরি করবেন, যা গবেষণার জন্য উপযুক্ত।’
সভাপতির বক্তব্যে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আল-নাঈম বলেন, ‘আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের শুরু ২০১২ সালে। বিভিন্ন ধরণের চড়াই-উৎরাই পার করে আমাদের সোসাইটি আজকে জাতীয় পর্যায়ে টিভি বিতর্কেও সাফল্যজনক অবদান রেখেছে।’
কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, ‘বিতর্ক চচা করতে উপযুক্ত বই দরকার কিন্তু আমাদের রয়েছে মাত্র ১৮টি। আমাদের রুমে কার্যনিবার্হী পরিষদের সদস্যদেরও জায়গা হয় না। জাতীয় ও ভালো বিতর্ক করতে গেলে দরকার বাজেট। আমাদের বাজেটের সল্পতা রয়েছে। মাননীয় উপাচার্যকে অনুরোধ করব, বাজেটের দিকে নজর দিতে। উপস্থিত প্রধান ও বিশেষ অতিথিসহ সকল অতিথিকে ধন্যবাদ আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য।’
লেখা ও ছবি : চৌধুরী মাসাবী।
ওএফএস।