‘মেডিসিন ক্লাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে’
‘লার্ন অ্যান্ড লেট আদার্স, লার্ন টু সার্ভ দি হিউম্যানিটি ইন দি বেস্ট পসিবল ম্যানার্স-এ মন্ত্রে অন্যতম অ্যাকাডেমিক সংগঠন হিসেবে ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরু করেছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ‘মেডিসিন ক্লাব’ নামের কেন্দ্রীয় সংগঠন।
মেডিসিন ক্লাব বিভিন্ন দুযোর্গকালে, সমাজ ও মানুষের উন্নয়নে, রোগে, চিকিৎসাবঞ্চিত এবং অভাবীদের বিনামূ্ল্যে, নামমাত্র খরচে বিভিন্ন রোগের ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি ওষুধ প্রদান করে চলেছেন। তখন থেকে তারা স্বেচ্ছায় রক্তদানও করে যাচ্ছেন।
সারাদেশের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোরতে তাদের মোট ৩১টি ইউনিট রয়েছে।
আরো ৫টি ইউনিট অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়।
চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধ যোগাড় করাই তাদের প্রধান কাজ।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও তার অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবাভিত্তিক সংগঠন ‘মেডিসিন ক্লাবের ২৩তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সম্মেলন-২০২২’ আয়োজন করেছে।
২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ অডিটোরিয়ামে দুই দিনের এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল।
মেডিসিন ক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ আরমান হোসেনের সভাপতিত্বে দুই দিনের উৎসব উদ্বোধন করছেন সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-২০ এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, পরিষদ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. এ. আজিজ, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মুহিবউল্লাহ্ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা।
সম্মানিত আরো অতিথি, মেডিসিন ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও দেশের সকল মেডিকেল কলেজ শাখার ক্লাবের প্রতিনিধি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, “দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর ছাত্র, ছাত্রীদের অন্যতম স্বাস্থ্য ও সামাজিক সংগঠন হিসেবে আমাদের ‘মেডিসিন ক্লাব’ দেশ ও জাতির উন্নতিতে কাজ করে যাচ্ছে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখেছি আমরা-করোনার সময়ে। আমাদের নানা আপদে-বিপদে। তারা ওষুধ ও ব্যবস্থাপনা বিনামূল্যে প্রদান করেছেন। রক্তদান, দুঃস্থ এবং গরিব মানুষকে হাসপাতালে এনে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রধান ঘোষণা করেছেন, ‘আমাদের আগামী দিনের চিকিৎসকদের এই মেডিসিন ক্লাব যদি কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে দেশের স্বার্থে যেকোনো সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়, তাহলে আমাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
পতাকা উত্তোলন, র্যালি, দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ, প্রথম অধিবেশন ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে প্রথম দিনের উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিকসন্ধ্যার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন ও বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে।
লেখা ও ছবি : ইউনূস রিয়াজ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএফএস।