সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ব্যক্তিগত আক্রোশে দুই ছাত্রকে মাস্টার্সের দুই সেমিস্টার বহিষ্কারের অভিযোগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)’র সদ্য সাবেক প্রক্টর ও আইন অনুষদের ডিন ড. এম. রাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে দীর্ঘ ৭ মাস পর অসদুপায় অবলম্বন দেখিয়ে তার বিভাগের দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আক্রোশের মাধ্যমে বহিষ্কারের অভিযোগ করা ছাত্ররা হলেন-মাস্টার্সের এম. সাদিদ ও আবদুল্লাহ মোল্লা।

লিখিত অভিযোগপত্রে তারা জানান, “২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে আমাদের ফলাফল ‘অকৃতকার্য’ দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগে যোগাযোগ করা হলে অফিসিয়ালি কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে চলমান সেমিস্টারের বহিষ্কার আদেশের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে আইন বহির্ভূত ও আমাদের প্রতি অবিচার।”

বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়ে তারা বলেছেন, ‘আমাদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রুমে আমাদের বা অন্য কারো বহিষ্কারের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা সকলে নির্ধারিত আসনে বসে পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষক শিক্ষক উপস্থিত থাকা অবস্থায় কারো খাতা দেখে লেখা সম্ভব নয়। পরীক্ষক কখনো এরকম অপ্রীতিকর অবস্থা কোনো পরীক্ষায় দেখেননি। দীর্ঘ ৭ মাস পর প্রকাশিত ফলাফলে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বহিষ্কার আইনসিদ্ধ নয়। এ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশের বহি:প্রকাশ। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে দ্রুত আমাদের ফলাফল প্রকাশ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

এই বিষয়ে অভিযোগকারী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এম. সাদিদ বলেছেন, ‘আমার অভিযোগ মূলত আমাদের ডিন মহোদয় ড. এম. রাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলছেন, তারা এই বিষয়ে কোনোকিছু জানতেন না। মাত্র একদিন আগে বিষয়টি বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়েছে। ড. রাজিউর রহমান স্যার যেহেতু শৃঙ্খলা বোর্ডের অন্যতম সদস্য, তিনি ৭ মাস পর গঠিত বোর্ডে আমাদের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে আমি উপাচার্য দপ্তর, উপ-রেজিস্ট্রার দপ্তর, শিক্ষক সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো ধরনের অগ্রগতি দেখতে পাইনি।’

এম. সাদিদ বলেন, “আমাদের আইন বিভাগের সঙ্গে আমাকে বহিষ্কারের বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে বলেছেন, ‌‘তুমি দোষ স্বীকার করে নাও। তোমাকে আমরা ক্ষমা করব।’ কিন্তু আমার প্রশ্ন আমি কী দোষ করেছি যে, দোষ স্বীকার করব? পরীক্ষার হলে কোনো ধরণের অসৎ উপায় অবলম্বন করিনি। আমাকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশে পরীক্ষা সমাপ্তের ৭ মাস পর মিথ্যা অভিযোগে আইন বহির্ভূতভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি বিচার চাই এবং আরো চাই, কোনো শিক্ষকের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার যেন আর কোনো শিক্ষার্থী না হন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম বলেছেন, ‘পরীক্ষার সময় তাদের বহিষ্কার করা হয়নি। কারণ তখন আমরা কেউ তাদের কারো অপরাধটি দেখিনি। যখন তাদের খাতা এক্সামিন করা হয়েছে, তখন একটি খাতায় দুজনের লেখার শতভাগ মিল পাওয়া গিয়েছে। তারপর তাদের অন্যান্য খাতাগুলো আমরা দেখেছি। ৩টি খাতাতে প্রায় শতভাগ মিল। এমন তো স্বাভাবিকভাবে কখনো হয় না। শিক্ষক-ছাত্ররা সবাই জানি। আমাদের বিভাগের কাছে মনে হয়েছে, তাদের উত্তরপত্র নৈতিকতাবিরোধী। সে মোতাবেক আমরা শৃঙ্খলা বোর্ডে তা পাঠিয়েছি।’

অধ্যাপক মনসুরা খানম আরো জানিয়েছেন, ‘এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডের বহিষ্কার করার ক্ষমতা আছে। তবে আমাদের তরফ থেকে দুটি সেমিস্টার বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়নি।’

মাস্টার্সের এম. সাদিদ ও আবদুল্লাহ মোল্লা দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের বিষয়ে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মিকাইল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘৭ মাস আগে মানে ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা দুইজন শিক্ষার্থীর সেমিস্টারের মোট ১০টি খাতা ও তাদের বহিষ্কারের সুপারিশের রেজ্যুলেশনের কপি এবং চিঠি তাদের আইন বিভাগ থেকে জমা দিয়েছে। দায়িত্ব অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডকে বিষয়টি আমি অবগত করেছি মাত্র। এরপর বোর্ডের মিটিংয়ে আইন বিভাগের ডিন ড. রাজিউর রহমান বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি দুজনের খাতায় হুবহু মিল পাওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের দুই সেমিস্টার বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন।”

উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মিকাইল ইসলাম আরও জানান, ‘অকৃতকার্য শিক্ষার্থী এম. সাদিদ ও আবদুল্লাহ মোল্লাকে বহিষ্কারের চিঠি প্রেরণের সময় আমি দেখতে পাই, তাদের দুই সেমিস্টারই বহিষ্কার করা হয়েছে। তখন তাদের মাত্র একটি সেমিস্টার বাকি ছিল।’
মিকাইল ইসলাম বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এ ধরনের বহিষ্কার প্রদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।’

মাস্টার্সের এম. সাদিদ ও আবদুল্লাহ মোল্লাকে বহিষ্কার করা তাদের ডিন ড. রাজিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘তারা যেন ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া সেমিস্টারে যাতে অংশ না নিতে পারে সেজন্য দুটি সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে।’

মাস্টার্সের এম. সাদিদ ও আবদুল্লাহ মোল্লাকে বহিষ্কার করা বিষয়ে উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব বলেছেন, “ওদের সাথে আলাপ হয়েছে। পরে আলোচনা হবে। এখন নয়। আমি ক্যাম্পাসে আসি তারপর আলোচনা করব।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মিল্টন শেখের করা 'ল' পাশ কোর্সে নম্বর টেম্পারিং, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র সরবরাহসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে আইন বিভাগের ডিন ড. রাজিউর রহমান ও সভাপতি মানসুরা খানমের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তিন বছর পার হলেও রিপোর্ট প্রদান করেনি।

ছবি : অভিযুক্ত আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এম. রাজিউর রহমান।

ওএফএস।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী