পূর্বাচলে জমি নিতে অপারগতার বিষয়টি অসত্য: ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ ৫২ একর জমি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সেই ৫২ একর থেকে ১০ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এদিকে বরাদ্দকৃত জমি নিতে অপারগতার বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বরাদ্দকৃত জমি নিতে অপারগতার বিষয়টি সম্পূর্ন অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ২৬ অক্টোবর ২০২২ বুধবার কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে পূর্বাচলে রাজউক কর্তৃক বরাদ্দকৃত জমি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গতকাল ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দকৃত ৫১.৯৯ একর জমি গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করেছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য।
ওই বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, বরং উক্ত জমির চূড়ান্ত বরাদ্দ প্রাপ্তির লক্ষ্যে সানুগ্রহ অনুশাসন প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রীকে ইতোমধ্যেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি আবেদন পাঠিয়েছেন।
এদিকে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর বলেন, অপারগতা নয়; ঢাবির বাজেট নেই বলে রাজউককে জানানো হয়েছে। ওই জমি অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হলে যাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পায়- সেটি বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাবি সেখানে একটি সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রও খুলতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
জানা যায়, পূর্বাচলের প্রস্তাবিত উক্ত জমিতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ধারণাপত্র তৈরি ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরএ/
