‘লাঞ্চ বিড়ম্বনা বন্ধে অনলাইন সিস্টেম চালু হচ্ছে’
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য। ইমদাদুল হক ২০২১ সালের ১ জুন পরবর্তী চার বছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির পঞ্চম উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কাজ করছেন অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকা বিশবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক মূল্যায়ন চালু হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কি চালু হবে?
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক: ঢাবিতে শিক্ষার্থী দ্বারা শিক্ষক মূল্যায়ণ হচ্ছে এটা ভালো বিষয়। আমরাও সবার সঙ্গে আলোচনা করে যদি দরকার মনে করি তবে ব্যবস্থা নেব। সবসময় আমরা ইতিবাচক কাজের পক্ষে।
ঢাকাপ্রকাশ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে কী কী কাজ করছেন? আগামীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় দেখতে চান?
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক: এই নবীনতম বিশ্ববিদ্যালয় যেন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিণত হয় সেটি আমাদের চেষ্টা থাকবে। করোনার মধ্যে আমরা কিন্তু থেমেছিলাম না। আমরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নিয়েছি যেন সেশন জট না হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে; যেন নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারি। ভবিষ্যতে আশা করি এ বাজেট আরও বাড়বে। এই গবেষণার কাজকে ত্বরান্বিত করতে আমরা ল্যাব স্থাপন করেছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে আরও একটি আইসিটি ল্যাব স্থাপনের জন্য আমরা দরখাস্ত দিয়েছি। আমরা একটি সেন্ট্রাল গবেষণাগার স্থাপনের দরখাস্ত দিয়েছে। ছাত্রদের মধ্যে একাডেমিক প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমরা ডিনস অ্যাওয়ার্ড এ বছর থেকে চালু করব আশা করছি। প্রতি বিভাগ থেকে একজন সেরা শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্য়াওয়ার্ড দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কাউন্সিলিং সেন্টারের ব্যবস্থা করেছি। এর সুফল দেখতেই পাচ্ছেন।
ঢাকাপ্রকাশ: ‘লাঞ্চের পরে আসেন’ বিড়ম্বনাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসব বিষয়ে কী ভাবছেন?
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক: এটি কোনো সিস্টেম নয়। এই শব্দটিই উঠিয়ে দেওয়া হবে। এই লাঞ্চ শেষ হয় না। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হয়। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু অনলাইন সিস্টেম করতে। শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট আবেদন করবে এরপর যেন দপ্তরে না ঘুরতে হয়। অনলাইনে দেখে নেবে সে সার্টিফিকেট কবে পাবে। এভাবে কাজগুলো সহজ করার চেষ্টা করছি। র্যাংকিং-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরপরই আমাদের অবস্থান। বিভিন্ন দপ্তর ডায়নামিক করার চেষ্টা করছি যেন ‘লাঞ্চের পরে আসেন’ ব্যবস্থাটা বন্ধ হয়।
ঢাকাপ্রকাশ: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার লম্বা প্রক্রিয়া নিয়ে কী ভাবছেন?
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক: আমরা শিক্ষার্থীদের যেন সবকিছু সহজে হয় সেই চেষ্টা করছি। গতবার আলাদা আলাদা আবেদন করতে অনেক টাকা লাগত, এবার সেটি কমিয়েছি। অনেকের ভোগান্তি কমেছে। সবকিছু ওয়েবসাইটে সেট করতে একটা সময় লেগে যায় সামনের বার থেকে আর এসব সমস্যা হবে না। আমরা দ্রুত তখন কার্যক্রম শেষ করতে পারব।
ঢাকাপ্রকাশ: আগামী বছরগুলোতে কি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় থাকবে?
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক: সেটা আগামীতে দেখা যাবে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।
ঢাকাপ্রকাশ: ক্যান্টিনে কি ভর্তুকি বাড়ানো হবে? খাবারের দাম কি কমবে?
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক: এখন তো সব কিছুরই দাম বেশি। ভর্তুকি তো আমরা দিয়েই যাচ্ছি, না হলে খাবারের দাম আরও বেশি হতো। আমাদের ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো, শিক্ষকরাও এই খাবার খাই।
এসএন