হল থেকে সায়মাকে বহিষ্কার, তদন্তে কমিটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
খালেদা জিয়া হলের হলের সিটে ছাত্রী তোলার সময় ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)’র একজন ছাত্রীকে হেনস্তা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জুনিয়র ছাত্রী সায়মা রহমানকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন খালেদা জিয়া হল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত ছাত্রকে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছেন হল প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।
আজ ২১ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে তিনি নিজেই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তার করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- হলের হাউজ টিউটর সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা সিদ্দিকা, নাজমুল হুদা ও নাহিদা আক্তার।
আন্দোলনরত ১৬ জন ছাত্রীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনে প্রভোস্ট বরাবর পাল্টা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সৈয়দা সায়মা রহমান।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হলটির কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন হল প্রশাসন।
এ সময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, সহকারী প্রক্টর, আবাসিক শিক্ষক ও ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
তখন তদন্ত কমিটি গঠন ও জুনিয়র ছাত্রী সৈয়দ সায়মা রহমানকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার নির্দেশের কথা জানিয়েছেন ট্রেজারার।
তিনি আরো বলেছেন, ‘বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হলের প্রভোস্ট অভিযুক্ত ছাত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।’
ছাত্রলীগের রেফারেন্সে খালেদা জিয়া হলের ২০৪ নং কক্ষে জানালার পাশে সিটে উঠতে চান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সায়মা রহমান।
২০১৬-’১৭ শিক্ষাবর্ষের সিনিয়র শিক্ষার্থী পপি আক্তার তাকে দরজার পাশের বেডে থাকতে বলেন।
এরপর সায়মা তার পরিচিত ছাত্রলীগের বড় ভাই শাহীন ও হাফিজকে বলেন।
বিকেলে শাহীন, হাফিজ, মাসুমসহ অন্য কর্মীরা পপিকে হেনস্তা ও তার বন্ধুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
সন্ধ্যা প্রায় ৭ টায় ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের বিচার দাবিতে খালেদা জিয়া হলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন হলটির ছাত্রীরা।
তাদের আন্দোলন চলেছে রাত ১১টা পর্যন্ত।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও হল প্রভোস্ট, প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে এসে আলোচনায় বসে তারা বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা সাথী বলেছেন, ‘আমরা ছাত্রীদের সঙ্গে বসেছিলাম। সেখানে দেড় শতাধিক ছাত্রী স্বাক্ষরসহ সায়মার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে তার সিট বাতিলের দাবি ও হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিচারের দাবি করেছে। এই ঘটনার বিচার করে আমরা সায়মাকে হল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। হেনস্তার অভিযোগ থাকা ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সুপারিশ করেছি। সায়মার অভিযোগের প্রেক্ষিতেও কমিটি গঠিত হয়েছে।’
ওএফএস।