গণস্বাস্থ্য ফিজিওথেরাপি কলেজের একটি জৌলুশময় দিন

সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ফিজিওথেরাপি কলেজ (গসভিপিটিক)-এর ৩৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা এবং ৩১ ও ৩২তম ব্যাচের ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, সকাল থেকে ফিজিওথেরাপি কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন শুরু হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রতিষ্ঠতা প্রধান ডা. ফিরোজ কবির, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সঞ্জিতকুমার চক্রবর্তী, পিপলস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. আলতাফ হোসেন সরকার পি.টি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, সাফজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের প্রধান ফিজিও ডা. লাইজু ইয়াসমিন লিপা, অনূর্ধ্ব-১৯ পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রধান ফিজিও ডা. মুজাদ্দেদ আলফেসানি, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ফিজিওথেরাপি কলেজ ফিজিওথেরাপি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আমিনুল ইসলাম।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ফিজিওথেরাপি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসিমা ইয়াসমিন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান বলেন, “শারিরীক জটিলতায় ‘ঔষধ বিহীনচিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৮ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ফিজিওথেরাপি বিভাগ খুব জৌলুশময় অধ্যায় পার করছে।”
ফিজিওথেরাপির অনুমোদন জটিলতার সকল সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
গসভিপিটিকের ৩৫তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থী সায়মা জেরিন বলেন, ‘ঠিক ৪ বছর আগের একটি উজ্জ্বল দিনে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। শিক্ষকদের পরম যত্ন ও স্নেহে আজ শিক্ষাজীবন পার করে এগিয়ে যাচ্ছি মানবসেবায় ব্রতী হয়ে।'
আলোচনার পর দুপুর থেকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শেষে অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ফিজিওথেরাপি কলেজের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।
লেখা ও ছবি : ইউনুস রিয়াজ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএফএস।
