মধ্যরাত পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রতিনিধি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের একজন সিনিয়র ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে।
ছাত্রীকে রক্ষা করতে এলে তার সঙ্গের বন্ধুকে মারধর করা করেছেন তারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছেন হলটির ছাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় হলের ছাত্রীরা হল গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এসময় তারা ছাত্রী হেনস্তার বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রায় দুইশ ছাত্রী হলের মধ্যে আন্দোলন করেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতার সুপারিশে গণরুম থেকে হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নং কক্ষের সিটে উঠেন ২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সৈয়দা সায়মা রহমান। তিনি কক্ষের পছন্দমতো সিটে থাকার দাবি জানান। তবে কক্ষের অন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে অন্য সিটে থাকতে বললে থাকতে রাজি হননি।
এ সময় হলের সিনিয়র বাংলা বিভাগের ২০১৬-‘১৭শিক্ষাবর্ষের পপি আক্তার ও হলের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা সায়মার সিট বাতিলের দাবি করে স্লোগান দেন।
এই সূত্র ধরে সায়মা তার ছেলে বন্ধু ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান হাফিজকে জানান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাখা ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজ, শাহীন আলম ও মাসুমসহ কয়েকজন নেতা, কর্মী প্রধান ফটকের সামনে পপি আক্তারের গতি রোধ করেন।
তারা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সহযোগী।
পথ আটকে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চান হাফিজ। একপর্যায়ে হাফিজ তাকে মারতে চান বলে অভিযোগ করেছেন পপি।
তার সঙ্গে থাকা বন্ধু আইসিটি বিভাগের ২০১৬-’১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পথিক প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করেছেন তারা।
রাত ৮টার দিকে প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যর্থ হন।
রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্রী সৈয়দা সায়মা রহমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হলে থেকে মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
রাত ১১টার দিকে প্রভোস্টের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
তারা আজ শুক্রবার সকালে ছাত্রীদের সঙ্গে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধান করার আশ্বাসে ছাত্রীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেছেন, ‘শুক্রবার সকালে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে এ বিষয়ে আলোচনা করব। আশা করি, সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী পপি আক্তার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা হলের নিয়ম অনুযায়ী ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলি। সে তার ছেলে বন্ধুকে জানালে তারা প্রথমে আমাকে বান্ধবীর মাধ্যমে হুমকি দেয়। পরে বিকালে হেনস্তা করে। এসময় প্রতিবাদ করলে আমার বন্ধুকে মারধর করে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
ওএফএস।
