শিক্ষার্থীর ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার ব্যবহৃত আইফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম তামিম লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এবং শাকিল হাওলাদার পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ছাত্রনেতা তারেক হালিমি ও সুমন সরকারের অনুসারী।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর মারধর করে ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগপত্র দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, পরিচালক ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা এবং রসায়ন বিভাগের প্রধান বরাবর দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ও শাহপরান হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর শনিবার রাত ১১টায় ছাত্রলীগ নেতা তারেক হালিমি ও সুমন সরকারের নির্দেশে আমিনুল ইসলাম তামিম ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে শাহপরান হলের ৪১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তাসহ লোহার জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পর ও দেওয়া হয়। এর আমিনুল ইসলাম তামিমের নির্দেশে শাকিল হাওলাদার তার কাছ থেকে আইফোন-১০ ছিনিয়ে নেয়। আইফোনটির বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ হাজারের ঊর্ধ্বে।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাকে দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলিয়ে তার ভিডিও রেকর্ড করেন আমিনুল ইসলাম তামিম। তারপর সে ফোন ফেরত চাইলে তাকে আরও মারধরের হুমকি দিয়ে ওই কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ছাত্রলীগ নেতা সুমন সরকার ও আমিনুল ইসলাম তামিম ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আবারও শাহপরান হলের ৪১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে তাকে মায়ের কাছ ফোন দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলতে বাধ্য করে। ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চারদিন পার হয়ে গেলেও তাকে আর ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়নি।
ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগকর্মী আমিনুল ইসলাম তামিমকে একাধিকার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নিজ কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সুমন সরকার বলেন, জোরপূর্বক কিছু করা হয়নি। এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি।
শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। প্রাধ্যক্ষ বডি এ নিয়ে আলোচনা করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এসএন