নানা আয়োজনে জবিতে 'শেখ রাসেল দিবস' পালিত
নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী তথা ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেক কেটে, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজ্ঞান ভবন চত্বরে উপাচার্য ও ট্রেজারার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ এর সূচনা করেন। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মাগফিরাত কামনা করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার সময় কোনো মানবাধিকার সংগঠন এগিয়ে আসেনি। এমনকি পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে প্রতিবাদও করেনি। স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির জন্য সব সময় কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদা সচেষ্ট রয়েছে। আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন। তার অকাল মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ৭৫ পরবর্তী থেকে ৯৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের তেমন কোনো উন্নয়ন ঘটেনি, যেমন ঘটেছে বর্তমান সরকারের সময়ে। দেশের জন্য স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু কখনো আয়েশি ও দম্ভের জীবনযাপন করেননি। তিনি তার সন্তানদের সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে চেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং কর্মচারী সমিতির সভাপতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহীম খলিল। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কেক কাটা হয়।
এসজি