কারাবন্দী ছাত্র অধিকারের নেতা-কর্মীদের মুক্তি চান স্বজনরা
রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ২৪ নেতা-কর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের মুক্তি চেয়েছেন তাদের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক অভিভাবক ও নাগরিক সমাবেশ এমন দাবি তোলেন কারাবন্দীদের আত্মীয়-স্বজনরা।
সমাবেশে কারাবন্দী আকরাম হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আকরামের মা আজ পাঁচদিন ধরে অসুস্থ। যতবারই তারা মার খেয়েছে, কখনো পাল্টা মার দেয়নি। এভাবে তাদের উপর অত্যাচার-অবিচার করা উচিত নয়। যুগ-যুগান্তরেযারা এভাবে অত্যাচার করেছে, তাদের পরিণাম খারাপ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অনুরোধ, অন্যায়ভাবে যেসব শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।
আরেক শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেনের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, ছেলেটারে পড়াশোনার টাকাও দিতে পারি না। দুই দিন ধরে আমার ছেলের খোঁজ পাইনি। পরে আত্মীয়দের কাছে শুনছি আমার ছেলেরে মিথ্যা মামলায় আটক করেছে।’
জাহিদ হোসেনের মামা আবুল কালাম বলেন, ‘আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় আমার ভাগনেকে মারধর করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহিদের সামনে পরীক্ষা। সে জন্য অন্তত তার পরীক্ষাগুলো দিতে পারে সে জন্য আমি তার মুক্তি কামনা করছি।’
এ ছাড়া, সমাবেশে বক্তারা বলেন, হল ও ক্যাম্পাসে সব দল ও মতের সহাবস্থান নিশ্চিত না করে ছাত্রলীগের হামলা-মামলাকে বারবার প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে, উল্টো তাদেরই আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শাহবাগে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধনের পর শাহবাগ থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের সাময়িক বাধা দিলেও পরে তাদের যেতে দেওয়া হয়।
এ সময় তাদের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের দায়ের করা দুটো মামলায় শনিবার (৮ অক্টোবর) ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এমএমএ/