আজ বেরোবি’র ১৫
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)’র ১৫ বছর আজ। জন্মদিন উদযাপনে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সবাই।
সকালে প্রশাসন ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাসিবুর রশীদ এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। আরো ছিলেন সব উর্ধ্বতন কমকতারা। এরপর তারা শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুলের মালা দিয়েছেন। তারা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্মৃতিতে তারা গাছের চারা রোপণ করেছেন।
ভিসি স্যারের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রাও বের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরেছে। সব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। তাতে তারা গেয়েছেন, নেচেছেন, আবৃত্তি করেছেন। অভিনয়ে ছিলেন।
এর মধ্যে আলোচনা সভা হয়েছে। প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাসিবুর রশীদ বলেছেন, ‘সেশনজট প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অভিশাপ। আমাদের চার বছরের ছিল। গত এক বছরে প্রায় শুন্য। আরো কমছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য। আগামীতে চার বছরের ডিগ্রি চার বছরেই সম্পন্ন হবে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লেখাপড়া শেষ করে ছাত্র, ছাত্রীরা তাদের নিজ নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। আমাদেরও শান্তি হবে। উন্নতি ঘটবে।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শ্রেণীকক্ষের সংকটসহ বিদ্যমান সমস্যাগুলোর পর্যায়ক্রমে সমাধান হতে চলেছে। তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে উন্নয়ন ও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাসিবুর রশীদ আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক বছরের মধ্যে গেটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নতুন আরো একটি স্বতন্ত্র পরীক্ষা হল নির্মাণ করা হবে। বেশ কিছু ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যাই আমার সৃষ্ট নয়। আমি সমাধানের জন্য দিন, রাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। সুতরাং নিজ, নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনসহ উন্নয়ন কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।’ আজ বুধবার সকালে ১৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাফল্য অর্জনে সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাসিবুর রশীদ।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শুধু উত্তর জনপদেই নয় দেশের সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।’
‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটি’র আহবায়ক অধ্যাপক ড. এম. গাজী মাজহারুল আনোয়ার সভাপতি ছিলেন।
‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটি ২০২২’র সদস্যসচিব ও ছাত্র-উপদেষ্টা ড. এম. নুরুজ্জামান খান বিশেষ আলোচনায় সঞ্চালনা করেছেন।
কিভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সাফল্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবন ও প্রাসঙ্গিকতা তারা আলোচনা করেছেন।
আরো অোলোচনা করেছেন-সামাজিক বিজ্ঞান অনষদের ডিন ড. এম. শরিফুল ইসলাম, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. এম. মতিউর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী এম. আলমগীর চৌধুরী, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. কমলেশচন্দ্র রায়, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেরোবি ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও কর্মচারী ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণীর সভাপতি নূর আলম মিয়া।
ওএফএস।