ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের উপর হামলার পর উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ কর্মীদের পেটালে ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করে বলে দাবি ঢাবির এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের প্রবেশমুখে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীর উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় ছাত্রদলের অন্তত ২০-২৫ জন আহত হন। আতহদের চিকিৎসার জন্য ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রদলের ঢাবি সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল।
জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা হয়। সে উপলক্ষে আজ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল নবগঠিত ঢাবি শাখা ছাত্রদলের। তারা নীলক্ষেত মোড় হয়ে স্যার এফ রহমান হল সংলগ্ন গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের মূল ফটক হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় লাঠি-সোটা দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। হামলায় স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, ‘আজকে আমাদের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। স্মারকলিপি দিয়ে আমরা সেখান থেকে হলের দিকে আসছিলাম। এসময় অন্যপাশে থাকা আমাদের এক কর্মীকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের কয়েকজন কর্মীর ঝামেলা হয়েছে।’
শুরুতে ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলা করতে দেখা গেছে এমন অভিযোগ তুললে তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের কর্মীর উপর হামলা হয়েছে তখন বাকিরা তাদের উপর হামলা করেছে। এখানে একপাক্ষিক হামলা হয়নি। দুই পক্ষ থেকেই হামলা হয়েছে।’
এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিব না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের আমরা প্রতিহত করব। তারা আমাদের এক কর্মীকে আহত করার পর আমরা তাদের প্রতিহত করতে গেছি।’
আহত কর্মীর নাম জানতে চাইলে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মীর নাম কেমনে বলতে পারব? তার নাম জানা নেই।’
হামলার পর স্যার এ এফ রহমান হল এবং বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয়। সেসময় তারা ‘ছাত্রদলের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘ছাত্রদলের আস্তানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘হৈ হৈ রই রই, ছাত্রদল গেলি কই’ স্লোগান দিতে থাকে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এসজি