গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগে পাঠচক্রের উদ্বোধন
গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগে পাঠচক্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিভাগের শিক্ষক সরোজ মেহেদীর উদ্যোগে মিডিয়া ল্যাবে আয়োজিত এ পাঠচক্রের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম।
‘ব্যক্তিত্ব, মনন ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে পাঠ’ স্লোগান নিয়ে প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর এ পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠচক্রে বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। উদ্বোধনী দিনে শিক্ষার্থীরা নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ’র ‘জীবন কৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও সাহিত্যে’র বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। পাঠচক্রকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঞ্চার হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদ সমকালীন সাহিত্যিকদের মধ্যে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি প্রতিভা। তার গল্প বলার ধরন, ভাষার ব্যবহার, উপমা-প্রয়োগ, কাহিনীর গাঁথুনি প্রভৃতি অনুসরণযোগ্য। তিনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে হুমায়ূন আহমেদের মতো সহজভাবে গল্প উপস্থাপন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
পরে ‘জীবন কৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল’ বইটি নিয়ে ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, আরিয়ান রহমান আকাশ, রোদেলা বিন্তু, ষষ্ঠ সেমিস্টারের মেহেদী হাসান, তাহমিনা ইমু, ২য় সেমিস্টারের ফিরোজ আহমেদ রিয়াদ, জুবায়ের আহমেদ, সামান্থা আলী, ১ম সেমিস্টারের পারভেজ ইমাম, মোদাচ্ছের রহমান, শাহরিয়া সওদাগর বহ্নি নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
বিভাগের শিক্ষক সরোজ মেহেদী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞানের সম্মিলন ঘটিয়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। এ লক্ষ্যেই এ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
‘আমি বিভাগর চেয়ারপার্সন মহোদয়, অন্যান্য শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানাই এমন উদ্যোগকে সফল করার জন্য। এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে যা যা করার সবই করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এক সময় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা এ শিক্ষক,’ যোগ করেন তিনি।
পাঠচক্রের শেষে অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী আরিয়ান রহমান আকাশকে একটি বই উপহার দেন শিক্ষক সরোজ মেহেদী। পরে বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম বইটি শিক্ষার্থীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন।
এমএমএ/