বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পরিবহন সংকট, ফিটনেস বিহীন বাস ও কয়েকটি পরিবহন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও পরিবহন বৃদ্ধি পাচ্ছে না অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এছাড়া মাঝে মাঝে একতলা বিআরটিসি বাস বন্ধ হয়ে যায়, ইঞ্জিন চালু করতে দিতে হয় ধাক্কা। বৃষ্টি নামলেই দোতলা বিআরটিসি বাসের ছাদ থেকে পানি পড়ে। ফলে, শিক্ষার্থীদের চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট চারটি হল থাকায় শিক্ষার্থীদের শহর কেন্দ্রীক বিভিন্ন জায়গায় তাদের মেস ভাড়া করে থাকতে হয়। মেস থেকে তারা ক্লাস করতে যাওয়ার পথে পরিবহনে অনেক সময় জায়গা থাকে না। এমনকি বরিশালের রুপাতলি নামক স্থান থেকেও অনেক শিক্ষার্থী পরিবহনে উঠতে পারেনা। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
পরিবহন পুলে থাকা গাড়িগুলোর ফিটনেস নিয়েও আছে বিস্তর অভিযোগ। এছাড়া ক্যাম্পাস থেকে স্বল্প দূরত্বে যেসব শিক্ষার্থী বসবাস করে তাদেরকে প্রধানত গণপরিবহন এবং অটোসার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হয়। এসব পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারেও শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান জানান, জানা মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী।আবাসিক হল সংকটের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য পরিবহনের ওপরই নির্ভর করতে হয় কিন্তু সে তুলনায় গাড়ির সংখ্যা নগন্য। কয়েকটি বাসের অবস্থাও ভালো না। বিশেষ করে বিআরটিসি বাস ফিটনেসবিহীন ও ভঙ্গুর অবস্থা। তাই,বাসের ফিটনেস ও বাস সংখ্যা বাড়ালে এ সংকট থেকে রেহায় পাওয়া যাবে।
পরিবহন পুলের সহকারী প্রকৌশলী (ট্রান্সপোর্ট) মো. জাহিদ হাসান বলেন, 'আমাদের বাসগুলো হঠাৎ কোনো সমস্যা হলেই ঠিক করতে হয় ওয়ার্কশপ থেকে। যেখানে ইনস্ট্রুমেন্টস' এর প্রয়োজন। ওয়ার্কশপ আমাদের না থাকায় সাথে সাথে বাস মেরামত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরেও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টুকিটাকি সমস্যা হলে মেরামত করি।'
পরিবহন পুলের ম্যানেজার মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা দূরীকরণে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ট্রেজারার মহোদয় এ ব্যাপারে আন্তরিক। বিআরটিসি বাসের ভঙ্গুর অবস্থা জানতে পেরেই আমরা আজকে বিআরটিসির ৬ নম্বর বাসটি পরিবর্তন করেছি।পূজার মধ্যেই বাকি যে বাসগুলো ফিটনেসের সমস্যা, সেগুলোর সমাধান করা হবে। পূজার পরে ফিটনেসের সমস্যা দুটি বিআরটিসি বাস পরিবর্তন করা হবে।'
পরিবহন সংকট নিরসনের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামী মাসেই একটি নতুন বাস সংযোজন করা হবে। ধানসিঁড়ি যে বাসটি আমাদের আছে সেটিও অতিশিগগিরই মেরামত করা হবে। তাতে শিক্ষার্থীদের জন্যে বাসের সংখ্যা বাড়বে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিনতা করে পরিবহন সমস্যা নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমনকি বিআরটিসির কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ভালো মানের গাড়ি সরবরাহের জন্যে।
এএজেড