রাশেদ এখন খুব খুশি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। রাশেদ পারভেজ নামে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও প্রধান এই প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসার থেকে সহকারী পরিচালক হয়েছেন। রাশেদ চাকরি করেন জনসংযোগ বিভাগে।
আজ ২৭শে জুন সোমবার তিনি এই আনন্দ সংবাদ পেয়েছেন। অপরাহ্নে সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেছেন।
রাশেদ পারভেজকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানিয়েছেন চুয়েটের তথ্য ও প্রকাশনা শাখার উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
জানিয়েছেন, গতকাল ২৬ শে জুন ২০২২ খ্রি. অনুষ্ঠিত চুয়েটের ১২৫তম সিন্ডিকেট সভার সুপারিশক্রমে রাশেদ পারভেজ পদোন্নয়ন লাভ করেছেন।
চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে ৩০ মার্চ, ২০১৭ খ্রি. থেকে কর্মরত আছেন তিনি।
মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় জন্মেছেন। ইসলামপুর ইউনিয়নের শাইর মুহাম্মদ পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতার নাম আবদুল গফুর ও মাতা মনোয়ারা বেগম। বড় চারবোনের কনিষ্ঠ।
রাশেদ পারভেজ চট্টগ্রামের সবচেয়ে পুরোনো পত্রিকা দৈনিক আজাদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে তিনটি বছর কর্মরত ছিলেন। চাকরি করেছেন ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
সার্টিফিকেটে তার নাম মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও প্রাচীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়ালেখা করেছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে।
খুব ভালো ছাত্র তিনি। ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে বি.এস.এস (অনার্স) ও পরের বছর প্রথম শ্রেণীতে এম.এস.এস (মাস্টার্স) করেছেন।
রাশেদ পারভেজ একজন গবেষকও। ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় নারী কৃষকের অবদান’ বিষয়ভিত্তিক এই প্রতিবেদনের জন্য ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অক্সফাম’র দেশীয় গণমাধ্যম গবেষণা সংস্থা ‘সমষ্টি’র মাধ্যমে ‘অক্সফাম ফেলোশিপ-২০১৫’ মনোনীত হয়েছেন ও লাভ করেছেন।
চট্টগ্রামের পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদনের জন্য ‘ওয়াচডগ বাংলাদেশ’ তাকে ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সমন্বয় কমিটি’র ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট ‘সেরা প্রতিবেদক’ পুরষ্কার দিয়েছে।
জার্মানির ডয়েচে ভেলে রেডিও থেকে গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকেও তার পেশাগত প্রশিক্ষণ আছে।
ছবি : চুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র, ছাত্রীদের একটি আয়োজন, ক্যাম্পাসে তারা ও রাশেদ পারভেজ।
ওএস।