দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘স্কাইফাইন্ডার’ সাবস্ক্রিপশন পেল জবি
আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে 'স্কাইফাইন্ডার' সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এতে দ্রুত ও সহজে তথ্য সংগ্রহ করে মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহায়তা পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুমোদন করেছেন।
স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশন এর ফলে রসায়ন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকাশিত সব প্রয়োজনীয় তথ্য জার্নাল, কনফারেন্স, পেপার, এবস্ট্রাকট, প্যাটেন্ট ইত্যাদি দ্রুত ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন যা মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আগামী তিন বছরের জন্য স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশন বাবদ ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৯২ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, স্কাইফাইন্ডার এ এক্সেস এর মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিশেষ করে বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ সারাবিশ্বে চলমান তাদের গবেষণা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন। এর ফলে আমাদের গবেষকদের আধুনিক মানের গবেষণার পরিচালনা ও পরিকল্পনা করা সহজতর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এটা আনন্দের খবর। আমরা গবেষণায় জোর দিচ্ছি। গবেষণা বাড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি। গবেষণা বাড়াতে বাজেট বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্কাইফাইন্ডার এ সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে। এ ছাড়া দেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুমতি পায়নি।
আরএ/