জন্মস্থানে সংবর্ধনা পেলেন ‘প্রথম উপাচার্য দম্পতি’
জাহাঙ্গীরনগরের প্রথম ছাত্রী ব্লু, এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত নারী সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, নামকরা গবেষক, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
তার স্বামী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর মেধা ও যোগ্যতায় তিনি ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, সাবেক ট্রেজারার, ডিন, চুয়াডাঙ্গার বেসরকারী ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র উপাচার্য ও নামী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
তারাই বাংলাদেশের প্রথম উপাচার্য দম্পতি।
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন পুরোনো ঢাকার মেয়ে। বংশালে জন্ম তার । স্বামী অধ্যাপক ড. হযরত আলী গাজীপুরের কাপাসিয়ার ছেলে। স্বামীর জন্মস্থান উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের ডা. আবদুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের গতকাল ১৬ জুন, প্রথম ‘উপাচার্য দম্পতি’ হিসেবে বিদ্যানুরাগী এলাকাবাসী উষ্ণ সংবর্ধনা প্রদান করেছেন।
এই অন্যরকমের ও অসাধারণ অনুষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার সাধারণ গ্রামের মানুষের সমাগম হয়েছে। তারা কাজ ফেলে এই বরেণ্য শিক্ষাবিদদের কথা শুনতে ও তাদের দেখতে এসেছেন। আশপাশের মোট চারটি বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র, ছাত্রীরা উপস্থিত হয়েছে। অন্যতম উদ্যোক্তরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. সাইফুল ইসলাম। সভাপতি ইউনিয়নের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন মাস্টার। গণমান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মঞ্জুরুল হক মুকুল, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন হান্নান, সাবেক ব্যাংকার আবদুল আওয়াল, ডা. আবদুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা-ইউনিয়ন এবং গ্রামগুলোর গণ্যমান্য প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ।
সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল ছাত্র, ছাত্রীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারী আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, ‘যেকোনো মানুষ জীবনে কোনো ভালো কাজ করলে একদিন প্রতিদান পাবেন। নিজেকে সম্মান করলে অন্যের কাছ থেকে সম্মান লাভ করবেন। ছোট, ছোট এই ছাত্র, ছাত্রীরাই আগামীর সমাজ ও বাংলাদেশকে তৈরি করে। ছেলে বা মেয়ে তাকে সন্তান হিসেবেই দেখতে হয়। কারো ছেলেমেয়েকেই কোনো অভিভাবক যেন বৈষ্যমের চোখে না দেখেন। মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহ ও সাহায্য করতে হবে।’
এই খবরটির প্রতিবেদক তার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন নদী বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি মা ও বাবার নামে ট্রাস্ট ফান্ডসহ মোট সাতটি ফান্ড পরিচালনা করছেন।
তার স্বামী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী তার জন্মস্থানে এসে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। তিনি এলাকার অনেকের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছেন। তাদের নানা ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন। তাদের জীবন সফল ও ছাত্রছাত্রীদের উন্নত জীবন গড়তে দিক নির্দেশনাময় বক্তব্য দিয়েছেন।
ওএস।