'ক্যান্টিনে ভর্তুকি বাড়াও, খাবারের দাম কমাও, মান বাড়াও'
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রীদের আবাসিক বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ক্যান্টিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মূল্য কমানো ও মান বৃদ্ধির দাবিতে পোস্টারিং করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সংসদ। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অঙ্কন বিশ্বাসের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের দাবিতেও পোস্টারিং করেছে জবি ছাত্র ইউনিয়ন।
সরজমিনে দেখা যায়, রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের আশপাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করেছেন জবি ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।
ছাত্র ইউনিয়ন জবি সংসদের নেতারা বলেন, অঙ্কনের মৃত্যুকে ঘিরে যে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে এর সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য সকলের সামনে আনতে হবে। তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্বায়িত্ব নিতে হবে ও অঙ্কনের পরিবারের পাশে থাকতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়ন জবি সংসদের সভাপতি খায়রুল হাসান জাহিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য, শিক্ষা উপকরণসহ জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে মেসের ভাড়া, খাবার খরচ, পরিবহন খরচ দিয়ে সামলে উঠতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া আর হলের ক্যান্টিনে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা চায় হলের ক্যান্টিনে ভর্তুকি বাড়ানো হোক, খাবারের মান বাড়ানো হোক, প্রশিক্ষিত পাচক দিয়ে রান্নার কাজ করানো হোক।
ছাত্র ইউনিয়ন জবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৃত্তিকা সরকার বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার ক্যান্টিনের খাবারের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীই ভোগান্তিতে রয়েছে। আর আমি নিজে দেখেছি কিছু নেতাদের জন্য খাবার আলাদা করে রাখা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলে বলা হয় খাবার নেই আবার সেই আইটেমই নেতারা চাইলে কোথা থেকে যেন হাজির হয়। অনেকে টাকা না দিয়েও চলে যায়, হাফ টাকা ও দেয়। এই পরিমাণ যদি খাবারের মূল্য ধরা হয় সকলের না খেয়ে থাকতে হবে। এই ব্যাপারটা একটু দেখা উচিত। অনেকের হাতে ২০-৩০ টাকাও থাকে না দুপুরের খাবারের জন্য। এখন আবার টিএসসির কেক, বান এগুলোরও মূল্য বাড়ানো হয়েছে। একটা কেক, বান খেয়ে সারাদিন ক্লাস, পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে ক্যান্টিনের খাবারের দাম বাড়িয়ে রাখা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত না।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাজেটের মধ্যে রেখে মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। যাদের হাতে হাতে গোনা কিছু টাকা থাকে তারা কী না খেয়ে থাকবে নাকি তাদের ক্ষুধা বলতে কিছু থাকা উচিত না। এই বিষয়ে অনেক আগেই কিছু করা উচিত ছিল। কথা অবশ্য আগেও বলা হইছে কিন্তু লাভ কিছু হয় নাই।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি বাবদ কোনো টাকা দেওয়া হয় না। বিদুৎ, গ্যাস বিল ও ভাড়া বাবদ কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এ ছাড়া নতুন অর্থ বছরের বাজেট না হওয়ায় ছাত্রীহলের ক্যান্টিনেও কোনো প্রকার ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না।
এসজি/