কেন নবাব আব্দুল লতিফ হলের সিট গেল সজীবের?
লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১ টায় একজন আবাসিক ছাত্রকে তার নামে বরাদ্দকৃত সিটটি থেকে উচ্ছেদ করে দেবার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও সেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার নাম সজীব কুমার।
গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায়।
সজীবের সঙ্গে এই প্রতিবেদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সাংবাদিক-ছাত্র মাহমুদুল হাসান যোগাযোগ করলে তিনি কাঁদতে, কাঁদতে বলেছেন, ‘আমি নবাব আব্দুল লতিফ হলের একজন আবাসিক ছাত্র। আমার কক্ষ নং-২০৪। এই রুমে গত ৪ মাস বেড শেয়ারিং করে থাকি। সেই বড় ভাই অন্য রুমে চলে যাওয়ায়, বিগত ১০ দিন আগে কক্ষ স্থায়ীভাবে বরাদ্দ পেয়েছি। আমার হল কার্ড আছে।’
সজীব জানান, ‘গতকাল রাতে আমাদের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে রুম ছাড়তে বলেছেন।’
তিনি রুম ছেড়ে পথে বসতে রাজি না হওয়ায় তারা রাত ১১ টায় সজীবের বিছানা, খাতাপত্র সবই দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেন।
জোর করে তাকে বের করে দেন ও ২০৪ নম্বর রুমে সিটে অন্য একজন শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেন।
রুমে ঢুকতে না পেরে বৈধ বরাদ্দকৃত কক্ষ থাকার পরও সজীব কুমারকে রুমের সামনের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে।
ছাত্রের অসহায় ও করুণ এই অবস্থা নিয়ে তার নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, ‘এই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সজীবকে অন্য কক্ষে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
অথচ এখনও তিনি কোনো কক্ষে উঠতে পারেননি। তারা কার্যকর পদক্ষেপ সম্পন্ন করেননি।
নিরুপায় এই অবস্থায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রদ্ধেয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও বাসস্থান নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. মাহবুবুর রহমানের কাছে তার প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ করে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ গ্রুপে পোস্ট দিয়েছেন অসহায় সজীব কুমার।
ওএস।