জাককানইবিতে বৈসু-বিঝু-বিষু-বিহু-সাংগ্রাই-চাংক্রাণ উদযাপন
প্রতি বছর এপ্রিল ১১-১৬ তারিখ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদিবাসীদের সংস্কৃতির রীতিনীতি অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগতম জানায়। আদিবাসীদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের এ উৎসবের ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন ত্রিপুরাদের বৈসু, চাকমাদের বিঝু, মারমাদের সাংগ্রাই, ম্রোদের চাংক্রাণ ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এ উৎসব উদযাপন করেছেন ক্যাম্পাসে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়ে কলা ভবনের সামনে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় পুকুরে ফুল উৎসর্গ করার মাধ্যমে সমাপ্তি হয়। সেখানে ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাসুদুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সেশনের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রবীন ত্রিপুরা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আজকের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এবং প্রতিটা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষেরও ভিন্ন ভিন্ন উৎসব, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও জীবনব্যবস্থা রয়েছে তা জানানো। আমাদের সংস্কৃতির উৎসবটি ক্যাম্পাসে উদযাপন করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এ রকম উৎসব ও আয়োজনগুলো মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করবে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে সম্মান করার বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হবে।
মানব সম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী চাকমা বলেন, আমরা আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা দিনটিকে উৎসবমুখর করে তোলার জন্য ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনের পুকুরে ফুল দিয়ে ফুল বিঝু উদযাপন করেছি। তবে বাড়িতে যে আমেজ পাওয়া যায়, অঞ্চলভিত্তিক যে আমেজ থাকে সেটির অভাব অনুভব করেছি। আমাদের যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এক সপ্তাহের ছুটিও দেওয়া হতো তাহলে হয়ত আজকে উৎসবটি আমরা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারতাম।
উল্লেখ্য, চৈত্র মাসের শেষ দিনকে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন বলেন মূল বিঝু। তার আগে ফুল বিঝু পালন করা হয়। সরকারি ছুটি না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসেই ফুল বিঝু উদযাপন করেছেন।
এসএন