পিএইচডি টকের প্রথম পর্ব করলো এনএসটিউ
লেখা ও ছবি : সাদিদ হক
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা, পিএইচডি অজন এবং পড়ালেখায় মনযোগী, ভালো ফল করতে আগ্রহী করে তুলতে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের অধ্যাপকরা।
শুরু করেছেন ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-পিএইচডি টক।’ সেখানে নিজেদের পিএইচডি করার গল্প, এর গুরুত্ব, শ্রম ও প্রভাব বলতে শুরু করেছেন বিভিন্ন বিভাগের পিএইচডিধারী শিক্ষকরা।
১১ এপ্রিল সোমবার হযেছে তাদের পিএইচডির গল্পের প্রথম পর্ব। তাতে নিজের পিএইচডি জীবনের কাহিনী বলেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্টি এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।
ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জাপানের উৎসুনোমিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে তার বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেছেন।
ছাত্র, ছাত্রী ও বিভিন্ন বিভাগের পিএইচডি না করা অধ্যাপকরা তার এই জীবনের গল্প থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।
এরপর তিনি তাদের সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন ও জানিয়েছেন, ‘গবেষণা সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদেরও উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা এবং পিএচডির সুবিধা তৈরি হচ্ছে। আপনারা অনেকেই জানেন না, প্রতি বছর আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক ছাত্র, ছাত্রী পিএইচডি করতে জাপান যাচ্ছেন। তবে ভাষা, উন্নততর শিক্ষা ও গবেষণার মানের সঙ্গে আমাদের সেখানে কাজ করতে হয়। বিশ্বের যেকোনো দেশের মতো জাপানেও গবেষণা এবং পিএচডি করতে হলে শতভাগ সৎ হতে হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাপানিরা অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। উধ্বর্তন গবেষক, সুপারভাইজরের বিশ্বস্ততা পিএইচডিতে অর্জন করতে হয়। পিএচডি গবেষণায়ও ব্যথতা আসবে কিন্তু সাফল্য আনতে হলে ধৈর্য্য ধরে কাজ করে যেতে হয়। এভাবেই একজন কৃতি অধ্যাপক ও গবেষকের জন্ম হয়।’
এই বিশেষ সিরিজ আলোচনা ও পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছে তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে।
প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘পিএইচডি টক’ উদ্যোগটি সবার কাছেই অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি নিজে পিএইচডি করেছি। ফলে জানি, একজন পিএইচডি গবেষককে নানা অজানা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। শিক্ষকদের এই অভিজ্ঞতাগুলো নতুন ছাত্র, ছাত্রী ও গবেষক এবং শিক্ষকদের অবশ্যই জানতে হবে।’
উপাচার্য স্যার আরো বলেছেন, ‘আমাদের এই উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞানের প্রতি আরো আগ্রহী করে তুলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব ও মান বাড়াবে। আমাদের শিক্ষকদের ভালো থিসিস পেতে অবশ্যই ভালো গবেষক তৈরি করতে হবে। সবাইকে মৌলিক বিষয় নিয়ে গবষণা করতে হবে। তখনই মানুষের কাজে আসবে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডির গল্প কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’
এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন তাদের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।
তাদের আলোচনায় সভাপতি ছিলেন ফার্মাসি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
এই আয়োজনের পর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ওএস।