অভিযুক্ত সিএনজি মালিককে প্রশাসনের থানায় সোপর্দের প্রতিবাদ
লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
গতকাল ১১ এপ্রিল, সোমবার, সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে চালানো সিএনজিগুলোর চালকরা মিলে মারধর করেছেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা এর প্রতিবাদে মিছিল করেছেন ও শিক্ষকদের কাছে বিচার চেয়েছেন।
তারপর এই ঘটনায় চালক পালিয়ে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি মূল অভিযুক্ত সিএনজির মালিককে ধরে থানায় সোপর্দ করেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএনজি চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক ও মালিকরা মিলে।
গতকাল ১২ এপ্রিল তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এক নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সিএনজি ও ব্যাটারিচালত অটোরিকশাগুলো চালাননি, চালাতে দেননি কাউকে।
এই বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জুনায়েদ খান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলছেন, ‘তিনজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও একজন সিএনজি চালকের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। এরপর মারামারি হয়েছে।’
‘তবে এই মারামারিতে সিএনজি চালককেই কেবল দোষ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সে আসেনি। এরপর সেই সিএনজির মালিককে ধরে হাটহাজারি উপজেলার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিয়েছে।’
‘আমাদের মতে, অহেতুক একজন সিএনজি মালিককে থানায় প্রেরণের প্রতিবাদে আমরা আমাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ সিএনজি চালাবো না-’বলেছেন তিনি।
তারপর থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও যথেষ্ট রিকশা, অটোরিকশা, টমটম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ছাত্র, ছাত্রী, কমকতা, কর্মচারী ও অধ্যাপক হেঁটে চলাচল করছেন।
সিএসজি চালকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে তাদের সিএনজিগুলো ফেলে রেখেছেন।
ওএস।