বেলা প্রতি খাবারের দাম দ্বিগুণ করা হলেও মান বাড়েনি এতটুকুও
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের আক্রমণে মহামারি রোগে দীর্ঘ দুটি বছর বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর এবার রোজা রাখছেন হলগুলো ছাত্র, ছাত্রীরা। তবে ভালো মানের খাবারের জন্য প্রথম রমজানের সাহরিতে একে অন্যের হলে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। কম দামে ভালো মানের খাবার যোগাড় করতে পারেননি অনেকেই। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, খাবারের দাম দ্বিগুণ করা হলেও মান ভালো হয়নি কিন্তু মেয়েদের হলে খাবারের একই টোকেনে তিনটি আইটেম পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছেলেরা। খাবারের দাম দ্বিগুণ করলেও সেগুলো মান মোটেও বাড়েনি, তদাররিকও নেই শিক্ষকদের জানিয়েছেন সবাই।
স্যার এ. এফ. রহমান হলের আবাসিক ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাকিল আহমেদ বলেছেন, ‘মেয়েদের হলে এই ৫০ টাকার টোকেনে মুরগি, মাছ ও মুগ ডাল পাওয়া যাচ্ছে। ভাত ফ্রি। তবে আমাদের দেওয়া হচ্ছে দুটি আইটেম। রমজানে খাবারের দাম বাড়ানো হলেও মান বাড়ানো হয়নি। আমাদের পাতলা ডাল ঘন করানো হয়নি। মাছের টুকরোগুলোও বড় করা হয়নি।’
নৃ-বিজ্ঞানের আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই ৫০ টাকার টোকেনে আমাদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেটির আসল দাম ৩০ টাকা হলে ভালো হতো। ৫০ টাকায় এত নিম্মমানের খাবার কোনো ছাত্রই আশা করেনি।’
শহীদ সোহরোয়ার্দী হলের নূর আলমের অভিযোগ, ‘এই খাবার খেয়ে সারাদিন রোজা রাখা সম্ভব হয় না। আমাদের ডাইনিং রুমের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নেই। খুব বাজে পরিবেশে খাওয়ানো হয়।’
এই প্রতিবেদক অভিযোগ করেছেন ও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানে গরু ও খাসির মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। তবে রমজানের আগে দোকানগুলোতে যে খাবারের দাম ৪০ টাকা ছিল সেটি আমাদের হলগুলোতে এবার ১০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। মাংসের কোনো বালাই নেই। দেওয়াও হয় না। টাকার দামে মান কমেছে।
তারা আরো অভিযোগ করেছেন, কোনো হলেই প্রভোস্ট ও হল টিউটরদের কোনো তদারকি করা হয়নি। সাহরিতে তাদের কাউকে আমরা দেখিনি।
খাবারের দাম বাড়ানো নিয়ে এই প্রতিবেদককে হলগুলোর ক্যান্টিন ও দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, রমজানে খাবারের মান ও পরিমাণ বাড়াতে তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
খাবারে দাম বাড়ানো নিয়ে শহীদ সোহরোয়াদী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসাইন বলেছেন, ‘খোলা বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। ফলে আমরা আমাদের হলগুলোর ডাইনিং রুমগুলোর ম্যানেজারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আগে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত দাম প্রতি বেলার খাবারের সর্বনিম্ম মূল্য ২৫ টাকা থেকে দ্বিগুণ করেছি। খাবারের মান নিয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তারপরও ম্যানেজারদের সঙ্গে আলাপ করবো।’
তদারকির বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা তো ভোর রাতে গিয়ে দেখতে পারি না ছাত্র, ছাত্রীরা কী খাচ্ছে?’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেছেন, ‘হলগুলোতে আমরা সরাসরি তদারকি করতে যেতে পারি না। এই দায়িত্ব হলগুলোর প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের। তাদের সঙ্গে আমরা শীগ্রই সভায় বসবো। এরপর আশা করি, আমাদের হলগুলো খাবারের মানের সুষ্ঠু সমাধান বেরিয়ে আসবে।’
ওএস।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)