চুয়েটে ‘বিশ্ব পানি দিবস দিবস’ পালিত
পানির অপর নাম জীবন’। ভূ-পৃষ্ঠের মোট ৭১ ভাগ পানি। তবে মোটে তিন ভাগ পানযোগ্য বা খাওয়ার পানি। বাকি ৯৭ ভাগই লোনা। খাওয়ার কোনো উপায় নেই। যে তিনভাগ আমরা খেতে পারি, তার মধ্যে ৬৮.৭ ভাগ আছে বরফ ও তুষার অবস্থায়। মাটির নীচে আছে ৩০.১ ভাগ। ভূপৃষ্ঠের ওপরে আছে ০.৩ ভাগ পানি। অন্যান্য অবস্থায় আছে ০.৯ ভাগ পানি।
বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো আমাদের বাংদেশে বেশিরভাগ মানুষ ভূগভের পানি খেয়ে জীবনধারণ করেন। তবে এই অদৃশ্যমান পানিকে দৃশ্যমান করতে এবার বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়েছে ‘ভূগর্ভস্থ পানি : অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব’-প্রতিপাদ্যে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সরকারি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর এই তথ্যগুলো প্রদান করে আরো জানিয়েছে, চুয়েট আজ বিশ্ব পানি দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে নানা আয়োজনে মেতেছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি দিবসের শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের সামনে থেকে শুরু হয়ে গোলচত্বর পেরিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়েছে। শোভাযাত্রায় পানিসম্পদ কৌশলের ছাত্র, ছাত্রী ও অধ্যাপকরা ভূগর্ভ ও ভূপৃষ্ঠের পানি দূষণ ও অপচয় রোধের জন্য নানা শ্লোগানের প্ল্যাকার্ড বহন করেছেন।
এরপর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে ভিসি স্যার পানি দিবসের আনন্দ আয়োজনে কেক কেটেছেন। তারপর তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ব পানি দিবসের বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সভাপতি ছিলেন চুয়েটের পানিসম্পদ কৌশলের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন তার বিভাগের প্রভাষক মো. মুগদিউল ইসলাম।
চুয়েট ‘বিশ্ব পানি দিবস’কে উপলক্ষ্য করে ভূগর্ভের পানির গুরুত্ব নিয়ে ১৭ ও ১৮ মে দুই দিনের বিশেষ আয়োজন করছে। তাতে থাকছে মেকানিক্স অলিম্পিয়াড, পানি নিয়ে পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও বিশেষ সেমিনার।
ওএস।